সোমবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন লালমনিরহাটের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নিজেদের বেতনের বাসা ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার অংশ ফেরত দেন তারা।
শিক্ষকরা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, নির্ধারিত চিকিৎসা ভাতা ও শতভাগ উৎসব ভাতা দেয় সরকার। একই সরকারের অধীনে চাকরি করে বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মূল বেতনের সঙ্গে প্রতিমাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ এক হাজার ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ মাত্র ৫০০ টাকা দেয়া হয়। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, বর্তমান বাজারে এই টাকায় বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।
এ কারণে চলতি মাসে সরকারি বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ দেড় হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিচ্ছেন শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। এক্ষেত্রে তারা টাকা উত্তোলন করে ট্রেজারি চালানের নম্বরে (কোড নং -১-২৫৩১-০০০০-২৬৭১) জমা দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী সমিতির (লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলা) সভাপতি রশিদুল আলম বলেন, সরকারি এই ভাতার মাধ্যমে এক ধরণের বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এ বৈষম্য নিরসনে আন্দোলন করে যাচ্ছে শিক্ষক কর্মচারী সমিতি। মাত্র দেড় হাজার টাকায় বাড়ি ভাড়া ও একটা পরিবারের চিকিৎসা খরচ কিভাবে সম্ভব! তাই সরকারের দেয়া নাম সর্বস্য এ ভাতা সরকারকেই ফেরত দিচ্ছি।
তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার জন্যও সরকারের কাছে দাবি করেন।