নিজস্ব প্রতিবেদক : একজন মন্ত্রী পুত্রের সঙ্গে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেন তারেকের এক এজেন্ট। একটি কাজ পাইয়ে দেবার জন্য ঐ মন্ত্রী পুত্রকে নানারকম আর্থিক প্রস্তাব দেন। তাদের দুজনের সব কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলে গেছে লন্ডনে ডেভিড বার্গম্যানের এডিটিং প্যানেলে। জি কে শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিলো সরকারের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির। তাদের সঙ্গে নানা সময়ে ছবি তুলেছিলেন গণপূর্তের এই মাফিয়া ঠিকাদার। জি কে শামীম ছিলো আসলে তারেকের এজেন্ট। তার সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির আলাপচারিতা এবং ছবিও পৌঁছে গেছে ডেভিড বার্গম্যানদের কাছে। সরকার বিরোধী প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এসব ছবি এবং অডিও ক্লিপ।
আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে এরকম ১০টি তথাকথিত প্রামাণ্য চিত্র প্রচারিত হবে। এসব অপপ্রচারের মূল টার্গেট হলো বর্তমান সরকার। এর মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। আর তারেক জিয়ার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে, ডেভিড বার্গম্যানের নেতৃত্বে জামাত-বিএনপি ঘারানার একটি টীম।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তারেকের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লন্ডনে বার্গম্যানদের টীম কাজ করলেও ঢাকায় রয়েছে তারেকের শতাধিক এজেন্ট। এরা গোপনে সরকারের নানারকম তথ্য সংগ্রহ করে লন্ডনে পাচার করছে। এদের একটা বড় অংশ জি কে শামীম কিংবা শাহেদের মতো ব্যবসায়ী। এরা এখন যেকোনো ভাবে আওয়ামী লীগ এবং প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হয়েছে। নানা রকম ব্যবসায়িক প্রস্তাব নিয়ে এরা মন্ত্রী এবং সচিবদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করছে। সরকারের প্রভাবশালীদের সাথে ঘনিষ্ঠ ছবি তুলছে। তাদের নানারকম লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছে। আর এসব প্রস্তাবের কথোপকথন রেকর্ড করছে। মন্ত্রী বা সরকারের ঐ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কি বলছে সেটি বিষয় নয়, অনৈতিক প্রস্তাবটিকে ধরেই তৈরি করা হচ্ছে কল্পিত কাহিনীর প্রামাণ্য চিত্র।
শুধু ব্যবসায়ী নয়, তারেকের এজেন্ট রয়েছে সরকারের ভেতরেও। এদের কেউ বড় পদে, কেউ একেবারে নিম্ন পদে। গোপনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এদের হাতধরেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়। এই যাত্রাপথে এরা এসব ফাইলের ছবি তুলে পাঠিয়ে দিচ্ছে লন্ডনে। সাথে সাথে তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে টাকা। ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিষ্টারস ম্যান’ প্রামাণ্য চিত্রে দেখা গেছে কিছু ছবি এবং কাগজপত্র, সেগুলো সরকারের ভেতরে থাকা তারেকের এজেন্টরাই পাঠিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা অপপ্রচার বন্ধে এইসব গুপ্তচরদের আগে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
সূত্র : বাংলা ইনসাইডার