জনগণ সহায়তা করেছে বলেই সরকার জঙ্গিবাদ দমনে অনেকটাই সফল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে এখনও শতভাগ সফলতা আসেনি। তবে যে সুবাতাস বইছে তাকে এগিয়ে নিতে হবে।
শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বাংলাদেশে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০ দিনে শ্বেতপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সূচনা বক্তব্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদীর প্রতিটি হামলার ভেতরে গিয়ে অনুসন্ধান করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তারা দেখেছে এ সময়ে জঙ্গি তৎপরতা অনেকটাই অনলাইন কেন্দ্রিক। তারা সাংগঠনিক বিস্তার ও জনমনস্তত্ত্ব তৈরিতে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে। তাদের গবেষণায় সাইবার জিহাদের বেশ কয়েকটি দিক উঠে এসেছে। এরমধ্যে ধর্মীয় সংবেদনশীলতার রাজনীতিকরণ, রাজনৈতিক প্রপঞ্চের ধর্মীয় লেবাস এ ব্যক্ত ও প্রতিষ্ঠানের চরিত্রহরণ।
এ সবের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে বাস্তবায়নে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তারা। এর মধ্যে দেশে জঙ্গি, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধসহ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে আটান্ন দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এ সব সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল বলেন, বর্তমান সরকার বরাবরই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিপক্ষে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় জঙ্গিবাদ আর মৌলবাদের মতো শ্বেতপত্রগুলো আজ দেশ থেকে নির্মূলের পথে। আর এই কঠিন পথ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে এগিয়ে এসেছে। সমাজের সব ধর্ম শ্রেণিপেশার মানুষ। তবে তিনি আরও বলেন, এখনো শতভাগ সাফল্য আসেনি। তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি সব সময়ে রয়েছে। তারা এখন জঙ্গি তৎপরতা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে সক্ষম। শিগগিরই তারা শতভাগ নির্মূলে সফল হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারের সফলতার সুবাতাস সাধারণ মানুষ পাচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।