আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। নির্বাচনে আসেন শেখ হাসিানার সৎ সাহস আছে, তিনি বলেছেন আমি যদি হেরে যাই আমি চলে যাব। আপনারা নির্বাচনে আসেন জিতুন কে নিষেধ করেছে? আসবেন তো এত পানি ঘোলা করছেন কেন?
আজ রবিবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে জাদুঘরে চলে পাঠিয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। এটাই নিয়ম, এর বাইরে অন্য কোনো পথ নেই। বিএনপিকে এ পদ্ধতি মেনেই নির্বাচনে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির কথায় শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করবে কেন। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ তাদেরই (বিএনপি) টপ টু বটম পদত্যাগ করতে হবে। সারা বিশ্বসভায় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছে। নির্বাচনে যাবে বলছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকারের পায়তারা করবেন না। খফরুল সাহেব, চিৎকার চেচামেচি করে লাভ নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন হবে নির্বাচনে।
বক্তব্যের শুরুতেই সেতুমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্বে যে প্রভাব পড়েছে তার থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন না। বাংলাদেশেরও এর প্রভাব বিস্তার করবে তার আলামত আমরা কিছু কিছু দেখতে পাচ্ছি।
মৎস্যজীবী লীগের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মৎজীবী লীগের কাজ ঢাকায় না সারা দেশে, গ্রাম বাংলায়। ঢাকা বসে বসে দিবসভিত্তিক কর্মসূচি আর নেতাগিরি করলে হবে না, এরকম মৎস্যজীবী লীগ আমরা চাই না।
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সয়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পদাক শেখ আজগর লস্কর প্রমুখ।