২৪ তারিখের দিকে তাকিয়ে আছেন ক্রিকেট ভক্তরা। সেদিন অনুষ্ঠিত হবে এবারের টি ২০ বিশ্বকাপের সবচেয় উত্তেজনাপূর্ণ পাকিস্তান ভারতের মধ্যকার ম্যাচ। এই ম্যাচ এ পর্যন্ত সবচেয়ে দামি ম্যাচ। কারণ একেকটি টিকেট ২ লাখ টাকাও বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে।
এদিকে ভারতের রাম বাবু এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট চাচা আব্দুল জলিল স্পন্সর পেয়ে গেছেন। মোহালির রাম বাবু এবং লাহোরের ক্রিকেট চাচা রোববার দুবাইয়ের মাঠে হাজির থাকছেন। ক্রিকেটাররা বায়ো বাবল-এ বলে তাদের সঙ্গে হয়তো দেখা হবে না রাম বাবু কিংবা ক্রিকেট চাচার। কিন্তু হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে তো বাধা নেই। রাম বাবু, আব্দুল জলিল তাদের স্ট্রাটেজি বদল করেছেন। মাঠে তো চিৎকার করবেনই, হোটেলের বাইরেও বিরাট কোহলি অথবা বাবর আজমের নাম ধরে ডাক ছাড়বেন। ইতোমধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে সব।
অনলাইন বুকিং শুরু হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যে ভারত – পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট শেষ। এখন কালোবাজারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এই ম্যাচ দেখতে আমিরশাহী ভ্রমণের প্যাকেজ ট্যুর নিয়ে হাজির হয়েছেন আমেরিকা, ইংল্যান্ড থেকে ফ্যানেরা।
টিকিটের দাম শুনলে চক্ষু চড়কগাছে উঠবে। সর্বোচ্চ দামের টিকিট দু’ লক্ষ টাকার। সর্বনিম্ন সাড়ে বারো হাজার টাকা। এছাড়া টিকিটের দাম একত্রিশ হাজার দুশো, চুয়ান্ন হাজার একশো টাকা। অর্থাৎ, ভারত – পাকিস্তান ম্যাচের সাধারণ অবস্থার তুলনায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে তিনশো তেত্রিশ গুন বেশি দামে। তাতেও টিকিট কেনার লোকের অভাব নেই।
টেলিভিশনে এই ম্যাচ দেখানো হবে। টিভিতে দশ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যয় সর্বকালীন রেকর্ডকে ছুঁয়েছে। তিরিশ লক্ষ টাকা দশ সেকেন্ডের স্পট এর দাম। তাও পাচ্ছেন না বিজ্ঞাপনদাতারা। সব মিলিয়ে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে এই ম্যাচ। দুবাই থেকে পাওয়া খবরে জানা গেল, বার- রেস্তোরাঁয় পান ভোজনের দাম প্রচুর বেড়েছে। কিন্তু তাও পানশালা, রেস্তোরাঁগুলি ভিড়ে পরিপূর্ণ। একটি ক্রিকেট ম্যাচই দুবাইয়ের মানচিত্রই বদলে দিয়েছে।