পবিত্র মাহে রমজান মাসে দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ কওমি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসে প্রথমবারের মতো বিশেষ সহযোগিতার আবেদন করেছে।
বুধবার বিকালে মাদ্রাসার নিজস্ব ফেসবুক পেজে লাইভে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে মাদ্রাসার প্রতি সদয় এবং সহযোগিতার জন্য আকুল আবেদন জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার শিক্ষক ড. নুরুল আফছার আজহারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১২০ বৎসর আল্লাহর রহমত ও দয়া এবং সর্বসাধারণের আর্থিক অনুদান ও সাহায্য-সহযোগিতার উপর ভিত্তি করেই এ জামিয়া ইসলামের নিরলস খেদমত করে আসছে।
তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে যান চলাচল ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিনিধিরা আপনাদের কাছে গিয়ে মাহে রমজানের জাকাত, ফিতরা ও অন্যান্য দানের অর্থ সংগ্রহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন।
আর আল্লাহ না করুন, এবারের রমজানেও যদি জামিয়ার গোরাবা ফাণ্ডে অর্থ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম এবং হাজার হাজার গরীব ও এতিম ছাত্রের ভরণ-পোষণ চালু রাখা সংকটের মুখে পড়তে পারে। চলমান লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এ বছরও মাদ্রাসার প্রতিনিধিরা হয়তো আপনাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন না।
গত বছরের মতো চলতি রমজানেও আপনাদের প্রিয় এই প্রতিষ্ঠানের বিশাল ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতার অংশ হিসেবে নিজ নিজ সদকা-ফিতরা, নযর, কাফফারা ও দানের অর্থ ব্যক্তিগতভাবে বা এলাকাভিত্তিক সম্মিলিতভাবে মাদরাসার ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ নম্বরে জমা করে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম এবং বহুমুখী দ্বীনি খিদমতের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এসময় হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের প্রধান আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী, হেফাজতে ইসলামের আমির ও মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, পরিচালনা পরিষদ সদস্য আল্লামা ইয়াহিয়া, সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দিন, সরকারি শিক্ষা পরিচালক মাওলানা শোয়েবসহ সিনিয়র শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।