বিনোদন ডেস্ক : প্রতিদিন সংবাদের শিরোনাম হওয়া যেন কঙ্গনা রানাউতের নিয়মিত কাজ। নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে, কাজের থেকে সমালোচনার জন্যই বেশি সংবাদের শিরোনাম হয়ে থাকেন তিনি। তবে সম্প্রতি সময়টা তার উল্টো স্রোতে বইছে।
দিন কয়েক আগে মুম্বাইকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে সে রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। এবার এক সাংবাদিককে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে পড়েছেন বিপদে। মুম্বাই প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা কঙ্গনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
কঙ্গনার বিরুদ্ধে এক সাংবাদিকের অভিযোগ, গত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শিবসেনাকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে কঙ্গনা রানাউত মিথ্যা বলেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, একজন বিজেপি সমর্থক হয়েও শিবসেনাকে ভোট দিতে চাননি তিনি। অনেকটা জোর করে ভোট দিতে হয়েছে তাকে। তারা দুই পক্ষ একজোট হয়ে থাকার কারণে।
তবে সাংবাদিক কমলেশ সুতার তার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অভিনেত্রী নিজেই বান্দ্রা পশ্চিম আসনের ভোটার। এই আসনটি বিজেপি প্রার্থী আশীষ শেলার এবং বিজেপির পুনম মহাজন লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। যদি তিনি বলেন যে তিনি ২০১৪ সালের কথা বলছেন, তবে আবার বিজেপি-সেনা লোকসভায় বিজেপির সাথে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তাই স্পষ্টই বোঝা যায়, বিধানসভা নির্বাচনে তার বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার বিকল্প ছিল। কারণ উভয় দলই আলাদাভাবে লড়াই করেছিল।’
আর সাংবাদিকের এই টুইটের পরেই চটে যান কঙ্গনা, ফিরতি টুইটে তিনি লিখেন, ‘আপনি ভুল। আপনি ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। আমি আপনাকে শিগগিরই আইনি নোটিশ পাঠাবো। আপনাকে অবশ্যই আপনার কথাগুলো আদালতে প্রমাণ করতে হবে। এই মিথ্যা তথ্যের জন্য আপনার জেলও হতে পারে। আপনার এই স্বস্তা ট্রলের মূল্য আপনাকে দিতে হবে।’
এরপরই কমলেশ সেই টুইট শেয়ার করেন। সেটি মুম্বাই প্রেসক্লাবের নজরে এলে তারা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসে এবং কঙ্গনার বক্তব্যের প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছে। তারপরই টুইটটি মুছে দিয়েছেন কঙ্গনা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হচ্ছেন এই অভিনেত্রী। অনেকেই লিখছেন, সাংবাদিককে ভয় দেখিয়ে নিজেই ভয় পেয়ে গেছেন কঙ্গনা।
এদিকে কমলেশকে থ্রেট দিয়ে কঙ্গনার টুইটের স্ক্রিনশট রয়ে গেছে মুম্বাই প্রেসক্লাবের কাছে। তারা দাবি জানাচ্ছে এভাবে সাংবাদিকদের নিয়ে একজন অভিনেত্রীর উদ্ভট মতবাদের জবাব দিতে প্রস্তুত তারা। পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তারা।