ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করার কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। তবে শিরিন আবু আকলেহের পরিবার তার হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি মিলিটারি পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ বিশ্বাস করে- তদন্তে ইসরায়েলি সৈন্যদের সন্দেহভাজন বলে ধারণা করা হয় সেই বিষয়ে তদন্ত করাটা ইসরায়েলি সমাজের বিরুদ্ধে যাবে। এর আগেও, ইসরায়েলি বাহিনীর এক সদস্যের হাতে এক ফিলিস্তিনি হত্যার তদন্তে ইসরায়েলি সৈন্য দোষী প্রমাণিত হন। সে সময় ইসরায়েলের সাধারণ জনগণের অনেকেই মনে করতেন যে, ইসরায়েলি সৈন্যকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হয়নি।
শিরিনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইসরায়েল তদন্ত করবে না শোনার পর শিরিনের পরিবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শিরিন হত্যাকাণ্ড তদন্ত না করার খবর তাদের অবাক করেনি।
শিরিনের পরিবার বিবৃতি দিয়ে আরও জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের দিক থেকে এমন খবর প্রত্যাশিত। এ জন্যই আমরা চাইনি শিরিন হত্যাকাণ্ড তদন্তের অংশ হোক ইসরায়েল। আমরা চাই এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহি ও বিচারের আওতায় আনা হোক।’
শিরিনের হত্যাকাণ্ড গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এমনকি তার কফিন বহন করা ফিলিস্তিনিদের ওপরেই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববাসী। ইসরায়েলের এমন হিংস্র আচরণের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বিভিন্ন দেশের প্রধানরা। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান তারা।
ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে গত ১১ মে অভিযান চালায় দেশটির সেনারা। সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে ছিলেন ৫১ বছর বয়সী শিরিন আবু আকলেহ। প্রত্যক্ষদর্শী ও তার সহকর্মীদের অভিযোগ, ইসরায়েলের এক সেনা মাথায় গুলি করলে শিরিন আবু আকলেহ প্রাণ হারান।
১৯৭১ সালে জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্যাতিমান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ। তিনি ছিলেন একজন খ্রিষ্টান ও মার্কিন নাগরিক। জর্ডানের ইয়ারমুক ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতায় যাওয়ার আগে প্রাথমিকভাবে আর্কিটেকচারে পড়াশোনা করেন।
খবর আল-জাজিরা