জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয়, সংঘাত প্রবণ এলাকার বাইরে সংবাদকর্মীদের নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। অনেক দেশেই দুর্নীতি, পাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অনুসন্ধান করতে গিয়ে সাংবাদিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। সাংবাদিক হত্যায় দায়মুক্তির প্রবণতা খুব বেশি। ইউনেসকোর তথ্য মতে, এ ধরনের ১০টি ঘটনার প্রায় নয়টিতেই কারও সাজা হয় না।
আজ ২ নভেম্বর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস। এ দিনটি উপলক্ষে এ সব কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইউনেসকোর তথ্য মতে, গত বছর বিশ্বজুড়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে ৬২ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা আরও অগুনিত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন। যেমন-অপহরণ, নির্যাতন ও গুম থেকে শুরু করে গুজব রটানো ও হয়রানি, বিশেষত ডিজিটাল মাধ্যমে, অনেক ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। নারী সাংবাদিকরা বিশেষত অনলাইন সহিংসতার ঝুঁকিতে বেশি।
তিনি বলেন, সমাজের ওপর সামগ্রিকভাবে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপরাধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কারণ তারা তথ্যপ্রাপ্তির মাধ্যমে মানুষকে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেন। কোভিড-১৯ মহামারি এবং ভুল তথ্যের ছায়া মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে যে সঠিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সত্যিকার অর্থেই জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তথ্যপ্রাপ্তি যখন হুমকিতে পড়ে, তখন তা এমন বার্তা পাঠায়, যা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আজ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবসে আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের কাজ ও অর্জনকে স্মরণ করছি এবং তাদের ওপর হওয়া অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি, যোগ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।