নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে গেল বছরটি দারুণ কাটিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর ওয়ানডে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়েও ছিলেন।
কিন্তু শেষমেশ পাক অধিনায়ক বাবর আজমের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হলো। গেল বছর ওয়ানডেতে দারুণ পারফর্ম করার সুবাদে ২০২১ সালের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাবর।
বাবর গত বছর মাত্র ৬টি ওয়ানডে খেলে দুটি সেঞ্চুরিসহ করেন ৪০৫ রান। পাশাপাশি দলের কাপ্তান হিসেবেও ছিলেন সফল। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন এবং সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। বাবর ২৯ ম্যাচে ৩৭.৫৬ গড়ে ৯৩৯ রান করেছেন, যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।
এদিকে বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের নেতৃত্বেও আছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। এর আগে আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল।
বছরটা স্মরণীয় ছিল নিষেধাজ্ঞা শেষে বাইশগজে ফেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্যও। নয় ম্যাচে ৩৯.৫৭ অ্যাভারেজে করেছেন ২৭৭ রান। পাশাপাশি উইকেট শিকার করেছেন ১৭টি। এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন।
এদিকে, আইসিসির তিন সংস্করণ (টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্ট) মিলিয়ে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। এদিকে নারী ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা প্রমীলা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানা।
২০২১ সালে সবমিলিয়ে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৭৮টি উইকেট শিকার করেছেন পাক পেসার শাহিন। গেল বছরে তার সেরা বোলিং ছিল ৫১ রানে ৬ উইকেট। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে শাহিন ও রাসেল হেহো ফ্লিন্ট বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার হিসেবে স্মৃতির নাম ঘোষণা করে আইসিসি।
এর আগে ২০২১ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করে আইসিসি। যেখানে ইংল্যান্ডের জস বাটলার, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে পেছনে ফেলে ভোটে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রিজওয়ান খেলেছিলেন ২৯টি ম্যাচ। এই উইকেটকিপার ব্যাটার ৭৩.৬৬ গড়ে রান করেছেন ১৩২৬। উইকেটের পেছনে ডিসমিসাল আছে ২৪টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এক বছরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড তিনি ভেঙে ফেলেছিলেন সেই জুলাই মাসেই। তারপর নিজেকে নিয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। যার স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার পেলেন রিজওয়ান।