গত সোমবার রাতে দেশে ফিরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে তাকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দল থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাকে ছাড়াই খেলার মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিল টিম টাইগার্স।
তবে ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে মিলেছে সুখবর। নতুন করে করানো করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। তাই তার মাঠে ফিরতে কোনো সমস্যা নেই। আজ সন্ধ্যার মধ্যেই চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চলে আসে, তবে কি প্রথম টেস্টেও খেলবেন সাকিব? এ প্রশ্নের নিশ্চিত উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও। তবে জানা গেছে, মনে-প্রাণে প্রথম টেস্টটি খেলতে চান সাকিব। অন্যদিকে নিজেদের সেরা তারকার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইছে বিসিবি।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে চট্টগ্রামে টিম হোটেলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় সাকিবের ওপর কোনো বাড়তি চাপ দিতে চাইছেন না তিনি। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতাও সাকিবের কাছে রাখছেন পাপন।
এর আগে অবশ্য ফিটনেস টেস্ট ও মেডিকেল টিমের পরামর্শই অগ্রাধিকার পাবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম গিয়ে শনিবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করবেন সাকিব। এরপর ফিটনেস টেস্ট ও তার শরীরের অবস্থা বিবেচনায় আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
প্রথম টেস্টে সাকিবের খেলার বিষয়ে পাপন বলেছেন, ‘গতকাল রাতেই আমাকে সাকিব জানিয়েছিল ও নেগেটিভ। তবু আমাদের প্রটোকল অনুযায়ী ওকে আজ করোনা পরীক্ষা করিয়েছি আমরা। সেখানেও নেগেটিভ এসেছে ফলাফল। যেটা কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ওর সাথে কথা হয়েছিল যে নেগেটিভ হলে আসবে (চট্টগ্রাম)। তবে এখানে বিষয়টা হলো, ও কিন্তু অনুশীলনে নেই। আর ওর শরীরের কথা ২-৩ দিন আগেই বলেছিল ভালো আছে। এটি পুরোটাই যেহেতু স্বাস্থ্য বিষয়ক ইস্যু। তাই এখানে যারা মেডিকেল টিম আছে, ফিটনেস টিম আছে, তারা ওকে পরীক্ষা করবে।’
‘এখানে ও শুধু কালকে একদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবে। শুনেছি আজকে সন্ধ্যায় আসবে, সাতটার ফ্লাইটে। সাকিব কোভিড নেগেটিভ হয়েছে, সুস্থ হয়েছে এতে আমরা সবাই খুশি। এখন যত তাড়াতাড়ি দলে ঢুকতে পারবে, খেলতে পারবে আমরা সেই দোয়াই করছি।’
তবে পুরো বিষয় নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে তা জানিয়ে পাপন বলেছেন, ‘হয়তো সাকিব খেলবে, নাও খেলতে পারে। এটা এখন বলাটা মুশকিল। ওর ওপরেও নির্ভর করছে, ওর ফিজিক্যাল ফিটনেসের বিষয় আছে। এখানে আবেগ দিয়ে ভাবা যাবে না। কারণ কোভিড থেকে রিকভার করেই নেমে পড়া সহজ নয়।’
‘এখানে খেলা যদি ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি হতো, আমরা বলতাম খেলো। কিন্তু এখানে পাঁচদিনের খেলা। আমরা চাই না ওর জন্য কোনো বাড়তি চাপ বা বোঝা হোক। সেজন্য আমরা সাবধানতার পথে হাঁটবো। তবে ওর ওপর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে।’
সাকিব খেলতে চাইলে সবসময়ই স্বাগতম, এমনটি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সাকিব যদি খেলতে চায়, অবশ্যই খেলবে। ওকে তো না করার কোনো সুযোগ নেই। সাকিবের ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে। ওর ফিটনেস দেখা হবে। অনুশীলনের পর ট্রেইনার যদি ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দেয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই খেলবে।’