1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন

সাকিব, তামিমকে ছাড়াই বাংলাদেশের আফগান-পরীক্ষা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩

বাংলাদেশের পেসারদের সুসময়ের চিত্রটা ফুটিয়ে তুলেছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট। মিরপুরের ২২ গজে রাখা হয়েছে হালকা ঘাস। আফগানিস্তানের স্পিনারদের দমিয়ে রাখতে স্পোর্টিং উইকেটে টেস্ট খেলার পরিকল্পনা অনেক আগের। এখন দেখার পালা নতুন চ্যালেঞ্জে কতটা সফল হয় লিটন দাসের দল।
বুধবার সকাল দশটায় শুরু হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। চোটের কারণে শেষমুহুর্তে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। ওপেনিংয়ে তাই অভিজ্ঞ কাউকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। জাকির হাসানের সঙ্গী হতে পারেন মাহমুদুল হাসান জয়। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো ছিটকে গেছেন আগেই। এ অলরাউন্ডারের অভাব পূরণেও রয়েছে চ্যালেঞ্জ।
প্রতিপক্ষ দলে রশিদ খান না থাকায় অবশ্য অস্বস্তি কিছুটা কম। তবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে ‘অচেনা’ প্রতিপক্ষ। ২৭ মাস পর আফগানরা টেস্ট খেলতে নামছে। আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার ৬ বছরে মাত্র ৬টি টেস্ট খেলতে পেরেছে তারা। সবশেষ সাদা পোশাকে দলটি খেলেছে দুই বছরেরও বেশি সময় আগে।
টেস্টে মর্জাদা পাওয়ার পর আফগানিস্তান বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। লেগ স্পিনার রশিদ ১১ উইকেট নিয়ে টাইগারদের বিধ্বস্ত করেছিলেন সেবার। হারতে হয়েছিল ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। এরপর আর টেস্টে মুখোমুখি হয়নি দল দুটি।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে ধোয়াশা রাখা হয়নি মোটেও। টাইগার স্কোয়াডে ৫ পেসারের অন্তর্ভূক্তিও ষ্পষ্ট করে সব। উইকেট কেমন হতে পারে সেটির ধারণা ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, ‘আমি তো বলব, এটা খুব ভালো স্পোর্টিং উইকেট, যেখানে ব্যাটসম্যান, ফাস্ট বোলার ও স্পিনারদের জন্যও কিছু না কিছু থাকবে। আমি খুব ভালো একটা প্রতিযোগিতা দেখতে চাই।’
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৩ বছরের যাত্রায় বাংলাদেশ খেলেছে ১৩৭ ম্যাচ। অভিজ্ঞতায় ঢের এগিয়ে স্বাগতিকরা। টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন আফগানদের ইংলিশ কোচ জনাথন ট্রট।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘টেস্ট খেলা শুরুর সময় বাংলাদেশ যতটা আশাবাদী ছিল…(আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররাও এখন তেমন হতে পারে)। দেখুন, বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে অনেক দলকে হারিয়ে দেয়। ঘরের মাঠে তো অবশ্যই। আমার মতে, এই লক্ষ্যটা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এই জিনিসটিই খেলাটিকে এগিয়ে নেয়।’
দলের অনভিজ্ঞতাকে বড় করে দেখতে নারাজ সফরকারী দলের কোচ, ‘ঘরের মাঠে খেলা যে কোনও দলের জন্য বাড়তি সুবিধা। তাছাড়া বাংলাদেশ দল অনেক টেস্ট খেলেছে, তারা অভিজ্ঞ দল হিসেবে কিছু সুবিধা পাবে। তার মানে এই নয় যে তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলবে। আমরা সত্যিই ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি, খেলোয়াড়রা অসাধারণ ট্রেনিং করেছে। তারা বাংলাদেশে টেস্ট খেলা নিয়ে রোমাঞ্চিত। অতীতে যা ঘটেছে, কে ফেভারিট কিংবা কন্ডিশন কার পক্ষে, সেটা নির্ভর করে কাল কী ঘটবে এবং কে সেরাটা দেয়। আমার কাজ হলো কালকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টের জন্য সবাইকে প্রস্তুত রাখা।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি