উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুন) আবহাওয়ার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার নেত্রকোনায় দেশের সর্বোচ্চ ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার। দেশের সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণও অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানান, দেশে এরই মধ্যে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। এর সঙ্গে শুক্রবার সকালের পর যোগ হয়েছে লঘুচাপ। সব মিলিয়ে আগামী তিন থেকে চার দিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়াসহ উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। হয়ত একটানা বৃষ্টি হবে না। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম বায়ু সারা দেশে বিস্তার লাভ করছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূল এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যান্য স্থানে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।