গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরে মোজমা বেওয়া নামে এক বিধবা নারীকে মারপিট করে শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ লোকজনের বিরুদ্ধে। এসময় বিধবার বসতঘর ভাঙচুর করাসহ ঘরের বিভিন্ন অসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মোজমা বেওয়াসহ পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনার ভুক্তভোগী মোজমা বেওয়া বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ সাত জনের বিরুদ্ধে সাদুল্লাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মোজমা বেওয়া শ্রীকলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত খয়বর হোসেনের স্ত্রী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শ্রীকলা মৌজার ৯ শতক জমি মোজমা বেওয়ার ছেলে ৫৭১ নং দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভোগ দখ করে আসছেন। কিন্তু ওই জমি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বে-দখলের হুমকি দিয়ে আসছিলো শ্রীকলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল কাফি সরকারের ছেলে রেজাউল করিম সরকার, শাহীন মিয়া ও জহুরুল ইসলাম ঝড়ু। ঘটনার দিন গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে রেজাউল করিমের নেতৃত্বে তার দুই ভাইসহ একই গ্রামের তাজু, তোতা, মিলন ও শহিদুল ইসলাম লাঠি হাতে বাড়িতে প্রবেশ করে মোজমা বেওয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের বাধা দিলে মোজমা বেওয়াকে বেদম মারপিট করে শ্লীলতাহানিসহ শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা চালায়। এছাড়া ঘটনার সময় তারা মোজমার গলায় থাকায় স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেওয়াসহ তার বসতঘর ভাঙচুর এবং ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী মোজমা বেওয়ার অভিযোগ, ‘আমার ছেলে মনির উদ্দিন সরকারের নামে শ্রীকলা মৌজার ১০০৯ দাগ নম্বরে ৯ শতক জমি আছে। ওই জমি বর্তমানে ছেলের নামে রের্কড প্রস্তত রয়েছে। কিন্তু রেজাউলসহ তার ভাইয়েরা ওই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন। ঘটনার দিন অভিযুক্তদের হামলা ও মারপিটে আহত হয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি। বর্তমানে ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তহীনতায় দিনকাটছে। ঘটনার প্রতিকারে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা রের্কড কিংবা আসামিদের বিরুদ্ধে আজও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।’
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।