সাদুল্লাপুরে আগুনে পুড়েছে বসতবাড়ি, মালামাল,গরু ও শিশু সন্তান (ভিডিও)
লাবলু
আপডেট :
শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ইদিলপুরের মহিপুরে আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে বসতবাড়ির ৫ টি ঘরের মালামাল ও মালামাল বের করতে গিয়ে পুড়ে গেছে রহিম(১৫) বছরের শিশুসহ দুটি গরু। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
২০ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে এ দূর্ঘটনায় পুড়ে গেছে উত্তর মহিপুর গ্রামের কলিমউদ্দিনের পুত্র আনারুলের বসতবাড়ি।
আগুনে পুড়ে যাওয়া আনারুলের পুত্র রংপুর মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন রয়েছে। রাস্তা না থাকায় সেবা দিতে এসে ফিরে গেছে ফায়ারসার্ভিসের টিম।
সরজমিনে সকাল ৯ টায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় যে, অদ্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিট মেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িতে পৌঁছেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগের আঙ্গুল চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তার প্রতি।
তাদের ভাষ্য মতে বাড়িতে আগুন লাগার ৪০ মিনিটে ও বন্ধ হয়নি বিদ্যুৎ লাইন। একাধিক বার ফোন দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। ফায়ারসার্ভিস এসেও রাস্তার জন্য সেবা দিতে পারেনি। রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন না করায় এলাকা বাসী সঠিক সময়ে আগুন নিভাতে পারেনি।
প্রতিবেদকের নিকট সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সাদুলাপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খানঁ বিপ্লব ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের হাতে নগত ৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন।এ সময় সমবেত জনতা ইউপি চেয়ারম্যান ও পল্লী বিদ্যুৎ ইনচার্জের অবহেলা কথা তুলে ধরেন।বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্হা নেওয়া আশ্বাস দেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজু মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক সাহারুল ইসলাম সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় ও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান রাব্বী আব্দুল্যা রিয়ন বলেন, ২০১৭ সালে এল জি এস পির প্রকল্পের রাস্তার বরাদ্দ বাতিল হয়েছে। আমি যে কাজ করেছি তার টাকাই আমি পায়নি। জনগন নিজ উদ্যোগে রাস্তার যেকাজ করছে সেখানে আমি বিশ হাজার টাকা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং ইতিমধ্যে নগদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছি।
সাদুল্লাপুরে ধাপের হাট পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ৪ টা৫৩ মিনিট ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। তার পূর্বে আমাকে কেউ ফোন করেনি।