গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে অপহরণের এক মাস অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি জান্নাতী আক্তার নামে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী। এছাড়া অপহরণকারী রহিম মিয়াসহ তার সহযোগি বোন জামাই সুজা মিয়াকেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে চরম আতষ্ক ও হতাশায় ভুগছেন বাবা-মাসহ স্বজনরা।
এরআগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জামুডাঙ্গা গ্রামের বাড়ির সামন থেকে জান্নাতীকে অপহরণ করে পালিয়ে যায় প্রতিবেশি এক সন্তনের জনক রহিম মিয়া। রহিম মিয়া (২৮) একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও সহযোগি সুজা মিয়া হবিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় জান্নাতীর বাবা জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ৮ মার্চ রহিম মিয়া ও সুজা মিয়াকে আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, রহিম মিয়া বিবাহিত ও এক সন্তান থাকা সত্বেও এবারেই অষ্টম শ্রেণিতে ওঠা জান্নাতীর উপর কৃ-দৃষ্টি পড়ে। আগে থেকেই জান্নাতীকে উত্যাক্ত করতো রহিম। বিষয়টি জানিয়েও তার পরিবার ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো রহিম ক্ষিপ্ত হয়ে জান্নাতীকে অপহরণের হুমকি-ধামকি দিতো। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সকালে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তা থেকে জান্নাতীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে পালিয়ে যায় রহিম। এরপর বিভিন্ন ভাবে খোঁজাখুজি করেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জান্নাতীর বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রহিমের নানা অপকর্মের কারণে তার স্ত্রী কয়েকমাস আগে বাবার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।পরিকল্পিত ভাবে রহিম তার মেয়েকে অপহরণের পর অজ্ঞাত জায়গায় আটকিয়ে রেখেছে। তার অভিযোগ, রহিমের পরিবারের লোকজন মামলা না করাসহ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। মামলা হলেও একমাসেও মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী। মেয়ে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তা নিয়ে এখন চরম আতষ্ক ও হতাশায় দিন কাটছে বলেও জানান তিনি’।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, অপহরণের পর থেকেই মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর চালাচ্ছে। এছাড়া ছাত্রীকে উদ্ধারে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান নির্নয় করে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।