বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা জেলা : সাদুল্লাপুর-ভাতগ্রাম-ঠুটিয়াপুকুর সড়কে একটি বক্স কালভার্টের অংশ বিশেষ ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাদুল্লাপুরের ইদিলপুর ও খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এছাড়া এটি সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক। কয়েক হাজার লোক ছাড়াও শত শত যানবাহন এসড়কে চলাচল করে।
সম্প্রতি সড়কটির পাকুরিয়াবিল বাজারের অদূরে কৃষ্ণপুর জোড়া গাবেরতল এলাকায় বক্স কালভার্টের বেশকিছু অংশ ভেঙে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবহিত হয়েও কালভার্টটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
উপজেলা এলজিইডি ও এলাকাবাসী জানায়, এটি একটি গ্রামীণ সড়ক। এই সড়কে সাইকেল, মোটারসাইকেল, রিক্সা, টেম্পু, কার, মাইক্রোবাস চলাচল করার কথা; কিন্তু তা না মেনে অতিরিক্ত মালপত্র ও যাত্রী নিয়ে ভারী যানবাহন (ট্রাক, ট্রাক্টর, কাঁকড়া, যাত্রীবাহী নৈশ কোচ) চলাচল করছে। এই কারণে বক্স কালভার্টটি ভেঙেছে বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।
খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজু মিয়া বলেন, কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার পরদিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি মেরামত না করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তিনি মনে করেন, এখনই এটি মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া না হলে অচিরেই এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়বে। কারণ ধীরে ধীরে কালভার্টটির অপর অংশও ভেঙে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী এএইচএম কামরুল হাসান রনি বলেন, এ সড়ক যতটুকু ধারণ ক্ষমতার যান চলাচল করার কথা, বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি মালপত্র নিয়ে চলাচল করছে বেশকিছু ভারী যানবাহন। বিশেষ করে রাতের আঁধারে অতিরিক্ত মালপত্র নিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর, কাঁকড়া, ঢাকাগামী যাত্রীবাহী কোচ অবাধে চলাচল করায় সড়কটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত এই কারণেই বক্স কালভার্টটিও ভেঙে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে সড়ক বা কার্লভার্ট জরুরিভাবে সংষ্কার করার কোনো অর্থ উপজেলা এলজিইডির তহবিলে নেই। তারপরও স্থানীয়ভাবে উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীনেওয়াজ বলেন, বক্স কালভার্টটি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।