১. বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যা অর্থের বিনিময়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যে কারো কাছে সরবরাহ করতে পারে। প্রথমত এই ওয়েবসাইটগুলো আপনার তথ্য কিনে আপনার ফোন নম্বরসহ হ্যাকারের কাছে বিক্রি করবে। এতে আপনার নাম ঠিকানা, পরিবারের সদস্যদের নাম ঠিকানা, আপনার অপরাধমূলক রেকর্ড ইত্যাদির মত জিনিস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। আর এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে ব্ল্যাক হ্যাকাররা আপনাকে ব্ল্যাকমেইল, লাঞ্ছনা, হেনস্তা করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করতে পারে।
২. হ্যাকারের পক্ষে আপনার ফোন প্লান সরবরাহকারীর সন্ধান করা বেশ সহজ। এজন্য প্রথমে তারা আপনার ফোন প্লান সরবরাহকারীকে আপনার বেশ ধরে কল দিবে এবং আপনার নাম্বারটি তাদের ফোনে পুনর্নির্দেশ করে নিবে। অতঃপর একজন হ্যাকারের পক্ষে আপনার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করা খুবই সহজ হবে। যদিও আপনার পাসওয়ার্ড তাদের কাছে থাকবে না। কারণ তাদের কাছে যেহেতু আপনার নম্বরটাই আছে তখন তারা খুব সহজেই ফরগট পাসওয়ার্ড দিয়ে পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিতে পারে। এভাবে তারা আপনার ই-মেইল নিজের আয়ত্তে আনতে পারলে সেখান থেকে অন্য যেকোন অ্যাকাউন্টের আয়ত্ত নেয়া খুবই সহজ হবে।
৩. স্পুফিং এর মাধ্যেমে। স্পুফিং অর্থ হলো কেউ আপনার ফোন নম্বরটি নকল করতে পারে। যদি কোন হ্যাকারের কাছে আপনার নম্বর থেকে থাকে তবে তারা খুব সহজেই আপনি সেজে আপনার বাবা-মা বা ছেলে-মেয়ে অথবা আপনার পরিচিতজনদের কে কল দিয়ে টাকা চাইতে পারে।
৪. ধরুন আপনি আপনার ব্যাংক অথবা আপনার চিকিৎসকের কাছ থেকে আপনার ফোনে কোনো বার্তা অর্থাৎ টেক্সট ম্যাসেজ পেলেন যেখানে আপনাকে কিছু তথ্য পূরণ করতে বলা হয়েছে বা তাদেরকে কিছু অর্থ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে স্ক্যামার বা হ্যাকাররা আপনার বিশ্বাসযোগ্য কেউ হওয়ার ভান করে থাকে এবং আপনার বিভিন্ন তথ্য যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বিবরণ ইত্যাদি তাদেরকে প্রদানের জন্য নানা কলাকৌশল চালাতে থাকে।
সূত্র: ঢাকা টাইমস