অভিযানে জাল টাকা, মাদক, টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
ঢাকার সাভারে একটি ছোট পোশাক কারখানার ভেতরে জাল টাকা তৈরির কারখানা আবিষ্কার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে টাকা তৈরির মেশিনসহ ৫০ লাখের বেশি জাল টাকা, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও মাদক।
এ ঘটনায় কারখানা মালিকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে সাভার উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের সাদাপুর পুরানবাড়ি এলাকার ‘সাউথ বেঙ্গল এ্যাপারেলস লিমিটেড’ কারখানার ভেতরে জাল টাকা তৈরির এই কারখানায় অভিযান চালান হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে হচ্ছেন- মো. সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০) ‘সাউথ বেঙ্গল এ্যাপারেলস লিমিটেড’ নামের ওই পোশাক কারখানা ও টাকা তৈরির কারখানার মালিক। বরিশাল জেলার মুলাদী থানার ডিগ্রিরচর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন খানের ছেলে সাখাওয়াত ‘দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার’ নামে একটি পত্রিকার সহ-সম্পাদকও।
গ্রেপ্তার অপর দুইজন টাকা তৈরির কারিগর। তারা হলেন, মুলাদী থানার বয়াতি কান্দি গ্রামের মো. মানিক মোল্লার ছেলে মো. নাজমুল হোসেন (২৪) এবং শরিয়তপুর জেলার পালং থানার গয়াধর গ্রামের আল ইসলাম সরদারের ছেলে সুজন মিয়া (৩০)।
পুলিশ কারখানাটি থেকে ৫০ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার জাল নোট, প্রায় প্রস্তুত করা আরও ৫০ লাখের বেশি জাল নোট, এক বোতল বিদেশি মদ, একটি বিয়ার, ১০০ ইয়াবা ও জাল টাকা তৈরির মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি এবং উপকরণ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, সকাল ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অন্ধ মার্কেটের সামনে জাল টাকা নিয়ে লিচু কিনতে যান সাখাওয়াত হোসেন খান। এ সময় স্থানীয় জনগণ জাল নোটসহ তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে সাভার মডেল থানার এসআই রাসেল মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সাখাওয়াতকে ১৭ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করে।
পরে তাকে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সাদাপুর পুরানবাড়ি এলাকায় পোশাক কারখানার আড়ালে তিনি জাল নোট তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন বলে জানান।
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর হাটে সেসব জালনোট ব্যবহারের পরিকল্পনা কথাও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, তাৎক্ষণিক পুলিশের একাধিক টিম ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে জাল টাকা তৈরির দুই কারিগরকে গ্রেপ্তার করে। জব্দ করে ম্যাশিনারীজসহ বিপুল পরিমাণে জাল টাকা।”
পুলিশ সুপার আরও জানান, “অভিযানে এসে জাল টাকার এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যাংক কর্মকর্তার নাম পাওয়া গেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”