ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ১০-১২ বছর ধরে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ অবস্থায় আছে, বড় ধরনের কোনো সংকট হয়নি। তবে সামনে অনেক বড় সংকট আসতে পারে। আর তেমন কোনো সংকট এলে তা মোকাবিলা করতে পোশাকধারী পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ বুধবার (২১ জুন) ডিবি কম্পাউন্ডে আয়োজিত ডিবি-সিটিটিসির গ্র্যান্ড রোলকলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য রাজারবাগের পবিত্র মাটি থেকে প্রথম বুলেট নিক্ষেপ করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। এদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ কখনো মাথাচাড়া দিতে পারেনি। ভবিষ্যতেও দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় যে কোনো অপশক্তিকে অতীতের মতোই কঠোর হস্তে দমন করবে পুলিশ।
তিনি বলেন, তবে আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিবি আর সিটিটিসি ডিএমপি কমিশনারের দুটি শক্ত হাত উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জনবল, দক্ষতা ও সক্ষমতার দিক দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পুলিশ ইউনিট। যা কোনো পুলিশ ইউনিট করতে পারে না ডিএমপির ডিবি ও সিটিটিসি তা করে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার কোনো নাগরিক সমস্যায় পড়লে তা ডিবি পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করাতে চায়। কারণ, তারা জানে যে কোনো চাঞ্চল্যকর ঘটনা, খুন বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটলেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আসামি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাক তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে ডিবি পুলিশ।
তিনি বলেন, সারাদেশে যখন জঙ্গি হামলার একটা ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তখন ডিএমপির সিটিটিসি শুধু ঢাকা মহানগর নয়, সারাদেশে যেখানেই জঙ্গি তৎপরতার তথ্য পেয়েছে সেখানেই ছুটে গিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। এখনো আমেরিকা, জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশগুলোতে শপিংমল বা স্কুল-কলেজে জঙ্গি হামলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ এগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, ডিবি-সিটির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।