অসংখ্যবার ছুরি কাঁচির নিজেকে সঁপে দিয়েছেন কাইলি জেনার। ঠোঁট মোটা করা থেকে শুরু করে বক্ষ ও নিতম্ব উন্নত করার কাজটিও অনেক আগেই সেরেছেতি ২৩ বছর বয়সী ব্যবসায়ী ও মডেল। শোনা যাচ্ছে, তিনি আবারও বক্ষ উন্নত করতে সার্জারি করিয়েছেন। আর এই কানাঘুষা চাউর হয়েছে তার গতকাল , ছবিতে তার উন্নত বক্ষ অনেককে ভাবতে বাধ্য করছে, তিনি আবারও ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করিয়েছে। যদিও সার্জারির কথা স্বীকার করেননি কাইলি জেনার। তবে তার অনুসারীরা তা মানতে নারাজ। এমনকী কাইলির পুরনো ছবির সঙ্গে নতুন কিছু ছবি পোস্ট করে, তারা নিজেরাই পার্থক্য বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই কাইলি জেনার টেলিভিশন চ্যানেলের রিয়্যালেটি টেলিভিশন সিরিজ ‘কিপিং আপ উইথ দ্য কার্ডাশিয়ান্স’-এর একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। প্রতিভাবান এ শিল্পী নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রসাধন সামগ্রী এবং সামাজিক গণমাধ্যমে অতিশয় উপস্থিতি জন্য বহুল পরিচিত। ক্যারিয়ার শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সবার মন জয় করে নিয়েছেন। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আর কাজের প্রতি অনুরাগ তাঁকে সফল হতে সাহায্য করেছে। এর জন্য প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়েছেন তিনি। তবে হাজারও ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে বেশ সচেতন।সৌন্দর্য-সচেতন এ শিল্পী নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করে তা নিয়মিত মেনে চলেন। তাঁর কাছে শারীরিক সৌন্দর্য ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় তিনি প্রচুর পানি পান করে থাকেন। তিনি মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে ভালোবাসা। আর এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে নিজের শরীর–মনকে সুস্থ ও সবল রাখা। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি মধুমিশ্রিত গরম পানি পান করে থাকেন। এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম এবং সুন্দর থাকতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তিনি সকালে গ্রিন টি কিংবা ব্ল্যাক কফি পান করে থাকেন। তিনি চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া কিংবা পরিহার করার চেষ্টা করেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তিনি গ্রিন জুস ও অ্যালকালাইন–জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকেন।যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খান। সাধারণত তাঁর সকালের নাশতায় থাকে পাউরুটি, মাখন, ডিম, কর্নফ্লেক্স কিংবা ওটস। সঙ্গে আপেল, কলা, ব্লুবেরি কিংবা অন্য কোনো ফল। তিনি ডার্ক চকলেট চেরি ও মিল্কিবার খেতে ভালোবাসেন। দুপুরের খাবারে তিনি সাধারণত গ্রিল্ড চিকেন, স্টিমড রাইস ও টাকোস খান। এ সময় বিভিন্ন রকমের সবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তা ছাড়া তিনি শস্যজাতীয় খাবার ও পনির খেতে খুব ভালোবাসেন। বিকেলে খুব হালকা স্ন্যাক খেতে পছন্দ করেন। স্যান্ডউইচ, ফল ও পনির থাকে।
তবে ভ্যানিলা কফি ফ্রেইপি ও পেস্ট্রি তাঁর ভীষণ পছন্দের। রাতের খাবারে গ্রিল্ড চিকেন কিংবা গ্রিল্ড ফিশই থাকে। সঙ্গে অবশ্যই ভেজিটেবল সালাদ। এ ছাড়া অন্যান্য মিক্সড আইটেমও তিনি খেতে বেশ পছন্দ করেন। কখনো কখনো তিনি স্যুপও খান। রাতের খাবারে মাঝেমধ্যে তিনি সি-ফুড খান।
স্কুইড, অক্টোপাস ও ক্র্যাবের প্রতি তাঁর রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। তিনি সাধারণত হার্ট-ফ্রেন্ডলি খাবার খান; সাধারণত রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করেন।শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি; যা তিনি সব সময় করে থাকেন। তাই রাতের খাবারের পর তিনি কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম ও অল্প বিশ্রাম নিয়ে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সাঁতারের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। আর নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে।তাই তিনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতে ভোলেন না। কারণ সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ফলে শরীরে যেন কোনো প্রকার ঘাটতি না হয়, সেদিকে তাঁকে লক্ষ রাখতে হয়। তাই তিনি নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন। মন প্রফুল্ল রাখার জন্য অবসরে গান শোনেন কাইলি।