খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে কোনো দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই বাড়ি সংক্রান্ত সব নথিপত্র আগামী ১ ডিসেম্বর মধ্যে দাখিল করতে রাজউক ও গণপূর্তকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে শুনানিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে সালাম মুর্শেদীর মেয়ে ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক রিট করেছেন। রিটটি করার পর থেকে দুঃখজনকভাবে তিনি একাধিক লাইভ করেছেন। যেখানে তিনি সম্মানিত সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে বিভিন্ন নামে ট্যাগ দিয়েছেন। তাকে তিনি ক্রিমিনাল ট্যাগ দিয়েছেন, করাপ্ট ট্যাগ দিয়েছেন। এটা দুঃখজনক, তিনি (ব্যারিস্টার সুমন) একজন আইনজীবী। আমি নিজেও একজন আইনজীবী। আমি বুঝতে পারি না, যে ম্যাটারটি মাননীয় আদালতের সামনে বিচারাধীন আছে। আদালতকে অবমাননা করে কেমন করে তিনি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে লাইভে দিতে পারেন। এটা দুঃখজনক।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সামনে যে সাংবাদিক ভাই-বোন আছে তারা অবশ্যই এটা বিবেচনায় নেবে। আপনাদের হাত দিয়ে সত্যি কথাটাই যাওয়া উচিত। আমরা সব সময় সেটাই দেখে আসছি। সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এর আগে গত ১ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গুলশানের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি দখলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই বাড়ির সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি দাখিল করতে বলা হয়েছিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে। একই সঙ্গে সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।