সোমবার রাতে ডয়েচে ভেলেকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা আমাকে চোখ বেঁধে এবং হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তারপর প্রায় ৬১ দিনের মতো একটা গোপন জায়গায় আমাকে আটক করে রাখে। এরপর ২০১৫ সালের ১০ মে তারা দুপুরের দিকে চোখ বাঁধা এবং হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় একটি গাড়িতে আমাকে নিয়ে রওনা দেয়।’ তিনি দাবি করেন, এরপর তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিলংয়ে রেখে এসেছিল।
দেশে ফেরা নিয়েও কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের গুয়াহাটিতে একটা সহকারী হাইকমিশন আছে। আমি সেখানে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার জন্য একটি ট্রাভেল ডকুমেন্ট বা ট্রাভেল পাস পেতে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো রকম সাড়া পাইনি।’
বর্তমানে শিলং অবস্থান করা এই রাজনীতিবিদ জানান, ভারতে নিজের খরচেই চলছেন তিনি। তার পরিবারের সদস্যরা মাঝেমাঝে সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
যে কোনো পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশে ফিরে আসতে আগ্রহের কথা জানিয়ে আহমেদ বলেন, ‘যদি তারা (বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ) আমাকে ট্রাভেল পাস ইস্যু না করে, সে ক্ষেত্রে কিছু করা যায় কিনা দেখা যাবে।’
ভারতে অবস্থান করলেও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জুম ব্যবহার করে অংশ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। দেশে ফিরে রাজনীতি অব্যাহত রাখার কথাও বলেছেন কক্সবাজার ১ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য।
উল্লেখ্য, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে ২০১৫ সালের ১১ মে পাওয়া গিয়েছিল আলোচিত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে। তার দুই মাস আগে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকায় হঠাৎ নিখোঁজ হন তিনি।
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ। সম্প্রতি সেখানকার একটি আদালত সেই মামলা থেকে তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন এবং তাকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন।