সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্টিভ রোডস। বাংলাদেশের এই সাবেক কোচ সামনে থেকে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে দেখেছেন।
মুগ্ধও হয়েছেন। তারা নিজেদের পরবর্তীতে মেলে ধরতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে যদিও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই ইংলিশ কোচ। তিনি মনে করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের বেশি সময় দেয়ার সুযোগ পান না। এমন কি ভালো সঙ্গের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয় না তাদের।
যদিও ঢালাওভাবে বাংলাদেশের স্থানীয় কোচদের দিকে আঙুলও তুলছেন না রোডস। তিনি মনে করেন ভিন্ন তরিকায় কোচিং করালে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেশের ক্রিকেটেরও উন্নতি হবে। এই জায়গায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও কোচদের একে অপরের সঙ্গে আপোষ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে রোডস বলেছেন, ‘আমি জানি না তারা ভালো হবে কিনা। তারা সবসময়ই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বাংলাদেশের একটি জিনিস হলো তারা অনেক ভালো ক্রিকেটার পেয়েছে। আমি বিপিএলে অনেক অসাধারণ ক্রিকেটার দেখেছি। কিন্তু তারা নিজেদের নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পায় না। আমার মনে হয় তারা যা করতে চায় তাদের সেটা করতে দেয়া উচিত।’
বাংলাদেশের স্থানীয় কোচদের ভিন্ন তরিকায় কোচিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে তাদের দোষ দেখছেন না রোডস। কারণ বাংলাদেশে তারা এভাবেই কোচিং করিয়ে অভ্যস্ত। এ প্রসঙ্গে এই ইংলিশ কোচ বলেন, ‘স্থানীয় কোচদের বুঝতে হবে কোচিংয়ের ভিন্ন উপায়ও আছে, যেটি উপকারী হতে পারে। আমি বাংলাদেশি কোচদের দিকে আঙুল তুলছি না। তারা এভাবেই কাজ করে অভ্যস্ত।’
মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন বলেও মনে করেন রোডস। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই কোচের ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রশংসা করেছেন। তাকে দায়িত্ব দেয়া হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রোডসের ভাষ্য, ‘বাংলাদেশে ভালো কোচ আছে। আমার সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার ভালো ক্রিকেট মস্তিষ্ক রয়েছে। সে সবকিছু সাধারণভাবে দেখতে পছন্দ করে। সে এমন একজন যে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হতে পারে। বোর্ড ও কোচের সঙ্গে তাদের আপস করতে হবে এর ফলে কাজের সম্পর্ক তৈরি হবে। সালাহউদ্দিন খুব ভালো কাজ করতে পারতেন। এটা নতুন কিছুর শুরু হতে পারে।’