আবু তাহের বাপ্পা : মর্গেইজ জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ নিয়ে নানা কাহিনী মাঝে মাঝে সামনে আসলেও ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে এ ধরণের অভিযোগ খুব বেশী শোনা যায়নি। কিন্তু তেমনি এক তথ্য এসেছে আমাদের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর গেন্ডারিয়া ইসলামী ব্যাংক শাখায়। মোটা অংকের ঘুষ আর উপঢৌকন নিয়ে এ শাখার ম্যানেজারসহ ঋণের সাথে সংশিালষ্টরা নিউ সদরপুর স্টিল নামে প্রতিষ্ঠানকে দেড় কোটি টাকা ঋণ দেয়।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, যে জমি মর্গেইজ দেখিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে নিউ সদরপুর স্টিল এর জসিম উদ্দিন সেই জমি আগেই আরব বাংলাদেশ ব্যাংক ফতুল্লা শাখায় (এবি ব্যাংকে মর্গেইজ দিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাতা ঋণ নিয়েছে একই ব্যক্তি। একই জমি মর্গেইজ রেখে দুটি ব্যংক কীভাবে ঋণ দিল এ প্রশ্নের উত্তর জানতে ইসলামি ব্যাংক গেন্ডারিয়া শাখায় গেলে শাখা ম্যানেজার জানান, এ ঋণটি তার সময় হয়নি। যিনি ঋণ দিয়ে গেছেন তিনি এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন। তবে নিউ সদরপুর স্টিলের দামে একটি ঋণ রয়েছে। আমার জানা মতে তারা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছে। কিস্তি পরিশোধের বিষয় নয়, নিয়ম মেনে ঋণটি হয়নি এখানে মর্গেইজ জালিয়াতি হয়েছে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি জেনে পরে কথা বলতে হবে।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে নিউ সদরপুর স্টিলের নামে ঋণ গ্রহিতা জসিম উদ্দিন জানান, এটা ব্যাংকের সাথে আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ নিয়ে গণমাধ্যমের মাথা ব্যথার কিছু নেই। একই জমি দুই ব্যাংকে কীভাবে মর্গেইজ দিলেন আর কী ভাবে উভয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ঋণ অনুমোদন করলো এমন প্রশ্নের জবাবে একই ধরণের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, শাখা কর্তৃপক্ষ খুশি হয়েইতো ঋণ দিয়েছে। আমি ঋণ পরিশোধ করে দিচ্ছি। তিনি আরো যোগ করেন আমি ইসলামী ব্যাংকে রিভাইস মর্গেইজ এর ব্যবস্থা করেছি। ঋণ পরিশোধ করলে এবি ব্যাংক কেন মামলা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ দিকে তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, শুধু ব্যাংকের সাথে প্রতারণা করেছেন জসিম উদ্দিন এমন নয়, ব্যাংকের শাখায় মর্গেইজ রাখা দুটি জমি ইতোমধ্যে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রিও করে দিয়েছেন।