1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন

সিলেটে পৌঁছেছে করোনার টিকা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে সিলেটে পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের টিকা। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বেক্সিমকো’র ফ্রিজার গাড়ি করে টিকাটি সিলেট সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর ভ্যাকসিনগুলো গাড়ি থেকে নামিয়ে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান প্রোগ্রাম (ইপিআই) ভবনে নিয়ে রাখা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে করোনার টিকাগুলো সংশ্লিষ্ট স্থানে সংরক্ষিত রাখা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটে আসা ২৩ কাটুন করোনা টিকার মধ্যে ১৯ কার্টন নিয়মিত আর ৪ কার্টন অতিরিক্ত হিসেবে আনা হয়েছে। প্রতিটি কার্টুনে ১২০০ ভায়েল করে করোনার ডোজ থাকে। আর প্রতি ভায়েলে রয়েছে ১০ ডোজ করে করোনা টিকা। সেই হিসেবে দুই লাখ ২ লাখ ২৮ হাজার করোনা টিকা এসেছে। আর অতিরিক্ত হিসেবে এসেছে আরও ৪৮ হাজার টিকা। সিলেট নগরীর ১৩টি স্থানে করোনা টিকা দেয়া হবে। এরমধ্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪টি বুথ, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ৮টি বুথ, বিভাগীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১টি বুথ থাকবে। এর বাইরে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুটি বুথ রাখা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা করোনার টিকা পেয়েছি। সেগুলো কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সংশ্লিষ্টস্থানে যথাযথভাবে রাখা হয়েছে। ১৯টি কার্টন করে ২ লাখ ২৮ হাজার টিকা আমরা হাতে পেয়েছি। কবে থেকে শুরু হবে টিকাদান এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা টিকা দিবে তাদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে সবকিছু টিকটাক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট বিভাগের চার জেলার জন্য ৩৭ কার্টন ভ্যাকসিন বরাদ্দ রয়েছে। প্রতি কার্টনে থাকবে ১ হাজার ২০০ করে ভ্যাকসিন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৫ কার্টন, হবিগঞ্জে ৬ কার্টন ও সুনামগঞ্জের জন্য ৭ কার্টন ভ্যাকসিন। অবশিষ্ট ১৯ কার্টন ভ্যাকসিন সিলেট জেলার জন্য।সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ১৯টি কার্টন করে সিলেটে ২ লাখ ২৮ হাজার করোনার টিকা আমরা পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়া শুরু হবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ফ্রিজে টিকা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। টিকা দানে প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। টিকাদান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তার নেতৃত্বে চিকিৎসকের সাতজনের একটি টিম থাকবে। এছাড়াও ইতোমধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
জানা যায়, টিকাদানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৪টি ও সদর হাসপাতালে ৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টিকাদানে কেন্দ্র প্রতি থাকবেন ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক। টিকাদান পরবর্তী পর্যবেক্ষণের জন্য ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম থাকবে। টিকাদান কার্যক্রমের সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সিলেটে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।মহানগর এলাকায় ১২টি কেন্দ্রে এবং উপজেলা পর্যায়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। এরইমধ্যে জেলা ও মহানগর এলাকার জন্য পৃথক দুটি কমিটিও করা হয়েছে।
মহানগর এলাকায় ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক সিলেট কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সদস্য সচিব প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক।অপরদিকে সিলেট জেলা পর্যায়ে করা ৮ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি