এম এ রশীদ: অর্থ আত্মসাৎ মামলায় বহুধাপ বিপণন প্রতিষ্ঠান সেবক-এর চেয়ারম্যানসহ তিন কর্মকর্তাকে এক বছরের ও অন্য এক আসামি পলাতক থাকায় দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের অর্থদণ্ডে ও দণ্ডিত করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। এই মামলার আসামি ১/মৌলানা অলিউর রহমান, ২নং আসামী মৌলানা মঞ্জুরে ১০৯ দ্বারায় এ দুইজনের উপর ১ বৎসর কারাদণ্ড এবং ১০০০০/= টাকা জরিমানা এবং ৩নং আসামী হাফিজ ফয়সাল আহমদ পলাতক থাকায় তার উপর ২ বৎসর কারাদণ্ড এবং ১০০০০/= টাকা জরিমানা ঘোষণা করেন সিলেটের ১ম আদালতে বিচারক নুসরাত শারমিন । আদালত সূত্রে জানা যায় বিয়ানীবাজার সি আর মামলা নং ৪৩/২০১৬ ইং অএ মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ১৫/০৫/২০২৪ ইং বুধবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের সময় সিলেটের ১ম ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।উল্লেখ্য- যে অএ মামলার বাদী মাওলানা মোঃ আয়নুল হক, পিতা -মিছির আলী, সাং -সেনাপতির চক।সিলেটের ১ম আদালত বুধবার ১৫/০৫/২০২৪ ইং এই রায় দেন। দণ্ডিত আসামিরা হলেন—সেবক -এর সমন্বয়কারী মৌলানা অলিউর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মৌলানা মঞ্জুরে মাওলা ও বিয়ানীবাজার অফিসের পরিচালক হাঃ ফয়সাল আহমদ।দণ্ডিতদের মধ্যে মৌলানা অলিউর রহমান ও মৌলানা মঞ্জুরে মাওলা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি একজন হাঃ ফয়সাল আহমদ পলাতক আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। রায়ে আদালত বলেন,অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার আইনের অপরাধ আসামিদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামী কে ১ বছর ও অন্য এক আসামী-কে ২ বছর ও প্রত্যেক আসামি ১০০০০/= টাকা করে জরিমানা এবং সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আদালতের রায়ে আরও বলা হয় বহুধাপ বিপণন প্রতিষ্ঠান সেবক-এর নামে এবং আসামিদের পরিচালিত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বল্প সময়ের মধ্যে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে টাকা জমা নিয়ে তা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর করার অভিযোগ উঠে আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলায় বলা হয়,অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে যে, জায়গা-জমি বিনিয়োগের নামে আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহক মাওলানা মোঃ আয়নুল হক এর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করে। পরে ওই টাকার উৎস গোপন করার জন্য ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের নামে একাধিক হিসাবে তা স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন আসামিরা।