সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা:
সীতাকুণ্ডে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় নাজেহাল ভাসুরের পরিবার সংবাদ সন্মেলনে প্রতিকার দাবী করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভূগি শাহ্ আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন,তার ছোট ভাই পৌর সাবেক কমিশনার নুরুল আলম মৃত্যুর পর তার স্ত্রী হোসনেয়ারাত বেগম বেপরোয়া জীবন যাপন শুরু করলে প্রতিবাদ করেন তিনি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হোসনেয়ারা তার ভাসুর (শাহ্ আলম) ও ভাসুরের পরিবারের সদস্যদের নামে একের পর এক মিথ্যা মানহানিকর মামলা দিয়ে চরম হয়রানি শুরু করে।শুধু তাই নয়,বিভিন্ন মাধ্যমে শুরু করে ভাসুরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও। এতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও আদালতে হাজির হতে হতে ক্লান্ত অসুস্থ ষাটোর্ধ বৃদ্ধ শাহআলম। ফলে এসব হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সন্মেলন করা হয়।তিনি সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নুরুল আলম কমিশনারের বাড়ীর মরহুম ফরিদ আহমদের পুত্র।
তিনি আরো বলেন, ২০১০ সালে আমার ভাই নুরুল আলম কমিশনার দুস্কৃতিদের হামলায় নির্মম ভাবে খুন হন। এর এক-দেড় বছর পর থেকে তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেপরোয়া জীবন যাপন শুরু করে। এতে আমি তাকে মৌখিক ভাবে শাসন করতে থাকলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।এর ফলে হোসনেয়ারা সম্পত্তি ভাগ করে নিতে চাইলে পৌরসভা তার সম্পত্তি ভাসুর শাহ্ আলম তাকে বুঝিয়ে দেয়।পরে সে ভাড়া ঘর নির্মাণ করলে আমার জায়গায় তার ঘর ও স্থাপনা এসে যায়। সে সময় আমি তার নাবালক পুত্রদের কথা ভেবে তারা সাবালক হলে আমার জায়গা ছেড়ে দেবে শর্ত দিয়ে ব্যবহারের অনুমতি দিই। কিন্তু পরবর্তীতে দেখি তারা জাল দলিল করে এই সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে।এতে আমি (শাহ্ আলম) প্রতিবাদ করায় আমি ও আমার পুত্র কামরুল হাসান (৩২) ও বদরুল হাসান (২৫), কন্যা নিলুফা আক্তার (২৭) এবং আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এর নামে ৪-৫টি মিথ্যা মামলা দেবার পাশাপাশি অপপ্রচার চালিয়ে যায় বিভিন্ন মাধ্যমে।এতে আমরা শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হই। ফলে এই সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষায় আমরা প্রশাসনের সৃদৃষ্টি কামনা করছি। সংবাদ সন্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শাহআলমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, দুই পুত্র কামরুল ও বদরুল।