খায়রুল ইসলামঃ সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার কবর ভাঙ্গচুর করাবস্হায় বাঁধা দিলে পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ২ জন মহিলাকে সন্ত্রাসীরা গুরুতর আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের পশ্চিম আমিরাবাদ গ্রামে।মামলার বিবরণে জানা যায়,গত ৭ এপিল (রোববার) তারিখে হালকা বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় পারিবারিক কবরস্থানের দক্ষিণ পাশের পুকুর পাড়ে অবস্থিত লম্বা গাছটি কবরের উপরে পড়ে গেলে বিগত ১০/০৪/২৪ খ্রি. আনুমানিক সকাল ০৯:০০ ঘটিকার সময় গাছটি সরাতে গেলে সন্ত্রাসী আনোয়ারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী তারেক, আলী আকবর ইমন ও ওসমান গনি মিলে রাম দা,লোহার হাতুড়ী ও লোহার শাবল নিয়ে হামলা চালায়।এতে সন্ত্রাসীরা ২ জন মহিলাকে গুরুতর যখম রক্তাক্ত করে।আহতদের মধ্যে মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দিলদার বেগমের বুকের উপর উঠে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী আনোয়ার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে এবং সন্ত্রাসী তারেক তার পুত্রবুধ আয়েশা বেগমের শ্লীলনতাহানীর চেষ্টাসহ তার ডান হাতের তালুতে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে। সন্ত্রাসী আনোয়ারের নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা মৃত মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হকের কবরে বাঁশের ঘেরা, পারিবারিক সাইনবোর্ড এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাইনবোর্ডও ভেঙ্গে ফেলে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলে পত্রিকার প্রতিনিধিকে এলাকার স্থানীয় জাফর জানাই আনোয়ার ইতিপূর্বে পাঁচ মাস জেয়াল খেটে বের হয়েছে। প্রকাশ্য ধামা দিয়ে দেয়াল আমাদের সামনে ভেঙ্গে ফেলে এবং দুইজন মহিলার উপরে হামলা চালাই স্থানীয় আলমগীর জানাই আনোয়ার সব সময় হাতে ধামা নিয়ে চলাফেরা করে। এবং মুক্তিযোদ্ধার কবর এর উপরে পায়খানা বানাবে বলে হুমকি দেয় এবং মাটি তুলে লাশ খনন করার চেষ্টা করে এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ।
মুক্তিযোদ্ধা (সেনাবাহিনীর অবঃ) মাহবুবুল হকের স্ত্রী দিলদার বেগম সাথে কথা বললে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ঘটনার বিবরণ জানান। এবং তার পুত্রবধূ আয়েশা আক্তার হাতে কামড় দেওয়ার ঘটনা বিবরণ সাংবাদিকদের কে জানান।এই দিকে দিলদার বেগম বাদী হয়ে আনোয়ার সহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে ১.আনোয়ার ইসলাম( ৫৫)২.মো.তারেক (২০) ৩.মোহাম্মদ আলী আকবর ইমন (২২) ৪.মোহাম্মদ ওসমান গনি (২৫) এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে ওসি ঘটনার সত্যতা পেয়ে ১ও ২ নং আসামিকে গ্রেফতার করে
এ ব্যাপারে সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন( পিপিএম) জানান আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসলে আমি ঘটনা সত্যতা পেয়ে মামলা রুজি করি ১ ও ২ নং আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোর্ট প্রেরণ করি। এবং বাকী ২ আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।