পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, সুদানে আটকে পড়া আরও ১০৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরার জন্য নতুন করে নিবন্ধন করেছেন। সেখান থেকে ১৫০ জন বাংলাদেশি ফিরতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সুদানে আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করার সময়ই কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে এক মাসের বেশি সময় আগে নতুন কেউ আগ্রহী না থাকার কারণে তা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু আমাদের উদ্ধার ক্যাম্প বন্ধ করার পর পোর্ট সুদানে অনেক বাংলাদেশি জড়ো হতে শুরু করে। খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়েছে। তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা না থাকায় তারা অনেক কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন। খোলা আকাশের নিচে লোহিত সাগরের তীরে তাদের রাত কাটে। আমরা তাদের ব্যবহারের জন্য শুধু ফ্লোর ম্যাট এবং কিছু জলের ট্যাংক সরবরাহ করতে পেরেছিলাম গত কয়েক দিনে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের কনস্যুলেট মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুমোদন দেই। এখন জেদ্দার কোনো ফ্লাইট না থাকায় বদর এয়ারলাইন্সে দোহা যাওয়ার নতুন রুট খুলেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আবার উদ্ধার ক্যাম্প খুলে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি। গত পরশু পর্যন্ত ১০৪ জন নাগরিক দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। আমরা নিবন্ধনের শেষ তারিখ হিসেবে ২৭ জুন ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করছি, ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করবেন। ৮০ জন যাত্রী ৩০ জুন দোহায় প্রথম ফ্লাইট নেবেন এবং তারা বিমান বাংলাদেশের সামনের ফ্লাইটে উঠবেন ১ জুলাই। আরও ৮০ জন যাত্রী একই রুটে যাবেন। যদি আমাদের ১৬০ জনের বেশি যাত্রী থাকে, তারা ২ জুলাই ফ্লাইট নেবেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আশা করি, এ পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এ সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।