সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা মৌজায় তিস্তা নদীকূলে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও আলীবাবা থিম পার্ক স্থাপনে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮ইং সালে আলহাজ্ব ইয়ার আলী প্রায় ২৯ একর আয়তনে ‘আলীবাবা থিম পার্ক’ প্রতিষ্ঠাকল্পে কার্যক্রম শুরু করেন। এ নিয়ে কথা হলে প্রতিষ্ঠাতা বলেন, পার্কটিকে একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর উত্তরে নান্দনিক শিল্পকর্মের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীর তৈরী করা হয়েছে। পার্কের ভিতরে প্রবেশের মুখে একটি দর্শনীয় পানির ফোয়ারাসহ ম্যুরাল তৈরী হবে। যেখানে আল্লাহ্ তায়ালার ৯৯ নাম দৃশ্যমান হবে। এটি পামট্রির আদলে তৈরী করা হবে। পার্কের ভিতরে ইতোমধ্যে শিল্পকর্ম খচিত চমৎকার রাস্তা তৈরী করা হয়েছে।
মনোরম পরিবেশে বসার ব্যবস্থাসহ সুইমিং পুল থাকছে। পার্কটিতে শিশু- কিশোরদের বিনোদনের জন্য থাকছে বিভিন্ন রাইডস। যেমন- ট্রয়ট্রেন, ম্যারি গো রাউন্ড, প্যাডেল বোট, বিমান সদৃশ্য গাড়ি, স্লিপারসহ বিভিন্ন রকম ইনডোর গেম ও থ্রিডি মুভি। সেবাদানের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের জন্য মান সম্মত গার্ডেন রেস্তোরা, কনফারেন্স রুম, রিসোর্ট, পিকনিক স্পর্ট, গাড়ি পার্কিং, প্রশিক্ষিত সহায়ক সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্মিত হচ্ছে মিনি চিড়িয়াখানা, লেক তৈরী করে রঙ্গীন মাছ চাষ করাসহ প্রদর্শনের মতো নানান ব্যবস্থা।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফলাফলে বিনোদন পিপাষুদের জন্য নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশেশে বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু তিস্তানদী বিধৌত প্রত্যন্ত এলাকার স্বল্প আয়ের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের নামমাত্র মূল্যে ভ্রমণ সুযোগ থাকবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘেœই ভ্রমণ সুয়োগ। অফিসিয়াল মিটিং, সামাজিক অনুষ্ঠানাদী উদযাপণের সুয়োগ, সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভ্রমণের সুয়োগ থাকবে।
যেহেতু অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় বিশেষ করে তিস্তানদীর তীরবর্তী ও দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত সে কারণে এটি আকর্ষনীয়ভাবে দর্শনার্থীদের নিকট দৃশ্যমান ও মুল্যায়িত হবে। পার্কটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রাায় ২’শ৫০ জনাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। যা এ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
অন্যদিকে পার্কের আশপাশে বিভিন্ন রকমের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে সেখানেও হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা করা যাচ্ছে