এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। গতকাল শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেতে স্বাগতিকদের কাছে ৫ উইকেটে হারে টাইগাররা। এ হারে সুপার ফোরে ওঠার সমীকরণ বেশ কঠিনই হয়ে গেলো সাকিব আল হাসানের দলের। পরের রাউন্ডে উঠতে গেলে এখন শুধু আফগানদের হারালেই চলবে বাংলাদেশের, চেয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগান ম্যাচের দিকেও।
গতকাল ব্যাটিং ব্যর্থতাই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। তবে বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে একাই লড়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনে নেমে এই বাঁহাতি খেলেন ৮৯ রানের লড়াকু এক ইনিংস।
ম্যাচ শেষে সেই শান্ত দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন সংবাদ সম্মেলনে। জানান সুপার ফোরে ওঠা নিয়ে নিজের ভাবনা। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব (সুপার ফোরে খেলা)। তবে এত দূর চিন্তা না করে আমাদের এখন পরের ম্যাচটা কীভাবে জিততে পারি, সেটা নিয়েই পরিকল্পনা করতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা ওই ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব। ম্যাচটা যদি জিতি, তাহলে কি পরিস্থিতি দাঁড়ায়, সেটা তখনই দেখা যাবে। ’
পাল্লেকেলের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হলেও, এতো কম রান অপ্রত্যাশিত বলছেন শান্ত। এতে নিজেদের দায়ই দেখছেন তিনি, ‘এটা বলব না যে উইকেট অনেক সহজ ছিল। নতুন বলে হয়তো একটু সহজ ছিল, তবে বল যখন পুরোনো হয়, তখন কঠিন ছিল খেলা। আমার মনে হয়, আমরা ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো জুটি গড়তে পারতাম, তাহলে হয়তো এ রকম সমস্যায় পড়তে হতো না। আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। ’
লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে গতকাল বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ছিলেন বাঁহাতি। তবে সেটাকে কোনো সমস্যা মনে হয়নি শান্তর, ‘আমার মনে হয় না, এটা কোনো সমস্যা ছিল। কারণ, সবাই বাঁহাতি–ডানহাতি বোলারদের খেলার প্রস্তুতি নিয়েই আসে। আমাদের সবারই সামর্থ্য আছে যেকোনো পরিস্থিতি ও যেকোনো বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং করার। ’
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবন-মরণ লড়াই। হারলে তো সুপার ফোরে ওঠাই হবে না, জিতলেও থেকে যেতে পারে নেট রান রেটের সমীকরণ।