চাপে পড়ে সুর নরম করলো চীন। রয়টার্স সূত্রে খবর চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, চীন আমেরিকার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। পরিবেশ পরিবর্তনসহ করোনা বিষয়ে তারা একসঙ্গে কাজ করতে চায়। তবে সেজন্য মার্কিন সরকারকে তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, বেজিং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখেই চলতে চায়। তবে বিগত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সময় এই সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। ফের যাতে এই সম্পর্কের উন্নতি হয় সেবিষয়ে তিনি জোর দেবেন। আমেরিকার বাজারে চীনা দ্রব্য আমদানি-রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধ তুলে দিয়ে ফের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতিতে জোর দিয়েছেন ওয়াং।
বেজিংয়ের নিজস্ব বিষয়ে মার্কিন দেশ যেন হস্তক্ষেপ না করে সেদিকেও জোর দিয়েছেন ওয়াং। তিনি বলেন, চীন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। নিজের দেশের যেকোনও সমস্যা তারা নিজেরাই সমাধান করতে পারে। সেখানে তারা কোনও হস্তক্ষেপ বরদাশত করবে না। তবে আমেরিকার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক তারা মেরামত করে নিতে চান। সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে। সেখানে দুই দেশের বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ফোনালাপকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন তারা। যদি দুই দেশের মধ্যে সমস্ত সমস্যাগুলি সমাধান করে দেয়া হয় তবে তা আগামীদিনে যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে বলে জানান ওয়াং। তবে বাইডেন চীনের বেশ কয়েকটি নীতির বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। সেগুলি নিয়ে আলোচনা করছে চীন সরকার। এই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যে একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছে সেকথা ফের একবার জানান ওয়াং।