সুযোগ বুঝে সরে পড়া: এই ধরনের পুরুষ নারীর স্বভাব বোঝে। কোনো নারীর যদি এই পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়েও দ্বিধায় থাকে, তাহলে সেই পুরুষ পিছু হটবে। কারণ সে জানে, পিছু হটলেই নারী তার পিছু নেবে, তাকে পাওয়া জন্য ব্যকুল হবে।
সম্পর্কের তকমা গায়ে না লাগানো: এই ধরনের পুরুষরা নিজেদের সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে খুব দৃঢ় অবস্থানে থাকে। কখনই স্বীকার করবে না, সে একজন নারীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়েছে। বরং যে নারী তা ভেবে নেবে তাকেই বুঝিয়ে দেবে যে ওই নারী এমনটা ভেবে ভুল করেছে, তার অনুতপ্ত হওয়া উচিত। তবে আসল কথা হল, এই পুরুষদের আচরণে স্পস্ট বোঝা যায় যে সে সম্পর্কে আছে, তবে সে কখনই সেই তকমা গায়ে নেবে না।
নাগাল পাওয়া কঠিন: প্রয়োজনের সময় এই পুরুষদের কাছে পাওয়া অত্যন্ত দুঃসাধ্য। ফোন ধরবে না, মেসেজের জবাব আসবে না। হয়ত সে সময় সে আরেক নারীকে মুগ্ধ করতে ব্যস্ত। আর এমনটা ভেবে নেওয়া ভুল হবে না।
ব্যক্তিগত তথ্য দিতে না চাওয়া: নিজের জীবনের ব্যাপারে এই পুরুষরা কাউকে কিছু জানাতে চায় না। তবে আপনার জীবনের খুঁটিনাটি ঠিকই বের করে নেবে কথার মায়ায়। এরা নিজের সম্পর্কে মানুষকে জানাতে ভয় পায়। তারা ভাব নেবে যেন কিছুই তোয়াক্কা করে না, সবকিছুতেই সেই নারীর গুরুত্বই প্রধান। ফলে দিন শেষে নারী তার সম্পর্কে কিছুই জানে না, তবে তার প্রেম মত্ত থাকে ঠিকই।
নারীকে সুন্দর হিসেবেই রাখা: পরিপাটি নারী এসব পুরুষদের খুব পছন্দ। আর তা না হলে এদের আগ্রহ থাকবে না। এমনকি পরিস্থিতিও তাদের জন্য সবসময় পরিপাটি হওয়া চাই। এই পুরুষের সঙ্গে জীবনযাত্রার কোনো অগোছালো দিক নিয়ে যদি আলাপ করতে চান তবে সে আপনাকে দূরে ঠেলে দেবে। আবেগ জড়ানো আলোচনাতেও তাদের আগ্রহ নেই।
নারীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা: নারীর লাগাম সবসময় নিজের হাতে রাখতে চায় এই পুরুষরা। আর তাদের কোনো ভুল আপনি খুঁজে পাবেন না, কারণ জীবনের প্রতিটি নারীর হিসেব তার মাথায় আছে। নিজের কোন আবেগ সে প্রকাশ করবে এবং কোনটি করবে না সে ব্যাপারেও এরা প্রচণ্ড হিসাবি।
কথাবার্তায় চৌকশ: কথাই তাদের সবচাইতে বড় হাতিয়ার। তার মনোহর কথার জন্যই হয়ত একজন নারীর মন কেমন কেমন করবে।
আবার এই পুরুষরা এমন কৌশল অবলম্বন করে যাতে নারীরা মনে করে তার সঙ্গে থাকা সম্ভব না। এমন অবস্থায় নারী সরে আসার চেষ্ট করলে, শেষ মুহূর্তে সেই পুরুষ আবার এসে এমন ভাব করবে যাতে সেই নারী আবারও প্রেম করতে উদ্বুদ্ধ হবে।