সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জে সাব-রেজিষ্টার ভবনের পাশে অনুমোদন ছাড়াই একটি বহুতল ভবন নির্মান করেন ছাড়াইতকান্দি গ্রামের মোশারফ হোসেন। উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারো নির্মান কাজ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, চারতলা এ ভবনের নির্মান কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে আশপাশের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা। সরজমিনে জানা যায়, মতিগঞ্জ সাব-রেজিষ্টার ভবন সংলগ্ন একটি ডোবা ভরাট করে ২০১৮সালে কোন প্রকার পাইলিং ছাড়াই বহুতল ভবনের নির্মান কাজ শুরু করেন উপজেলার ছাড়াইতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন । নির্মান কাজ শুরু হলে উক্ত নির্মানাধীন ভবনসহ আশপাশের ভবনে ফাটল দেখা দেয়। এ ব্যাপারে পাশ্ববর্তি ভবন মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন গত ২০২০সালে ৬জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দেন। তদন্ত শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী যে প্রতিবেদন দেন তাতে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়। এতে কোন ডিজাইন অনুমোদন নেই এবং নুন্যতম বিল্ডিং কোর্ড মানা হয়নি। তাই লিখিতভাবে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অজিত দেব। এছাড়া ২০২০সালের ২৭জানুয়ারি উক্ত অবৈধ নির্মান কাজ স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন অপর ভুমি মালিক কামরুজ্জামান চৌধুরী । উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ভবনের নির্মান কাজ বন্ধের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান’র একক বেঞ্চ । ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন জানান, উচ্চ আদালত ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিষেধাজ্ঞার পর দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল । চলতি লকডাউনে রাতের আঁধারে ৪র্থতলার ছাদ ও সিড়ির কাজ শুরু করেছে । স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে অবিহত করেও কোন সাড়া পায়নি। এ ব্যাপারে মোশারফ হোসেন টেলিফোনে জানান, সকল প্রকার কাজ বন্ধ আছে, বর্ষায় পানি পড়ার আশঙ্কায় শুধু সিড়ির ছাদ মেরামতের কাজ চলছে । উপজেলা প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, নুন্যতম বিল্ডিং কোড না মেনে, অনুমোদন ছাড়া বহুতল ভবন নির্মান দন্ডনীয় অপরাধ। যেকোন মুহুর্তে উক্ত ভবন ভেঙে পড়তে পারে এতে সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জারি করা হয়েছে। কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।