শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ মুন্না: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক সিনিয়র ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. রোমেল মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছিল। আদালতকে তাঁরা বলেছিলেন যে পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক যোগসাজশে সংঘটিত হয়েছে। এই মামলার বাদী শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজি হননি।
কারণ, তিনি স্বীকার করেছেন, মামুনুল হক তাঁর বৈধ স্বামী একই সঙ্গে বাদীর ছেলে সাক্ষ্য দিতে এসে বলেছিলেন,তাঁর মা মামুনুল হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের তুলে এনে আটকে রেখে বলপ্রয়োগ করে মামলা করানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদ পুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করে আসছিলেন।
এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে
রাখে।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদ পুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।