ডিএসইর সূত্রটি আরও জানায়, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের আইপিওতে ৩৬ দশমিক ৪৫ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। কোম্পানিটি আইপিওতে ১ কোটি ৯০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করছে।
গত ১ এপ্রিল থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিও প্রক্রিয়া থেকে লটারির প্রথা তুলে নেয়।পাশাপাশি আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগের শর্ত জুড়ে দেয়। লটারির প্রথা তুলে নেওয়ার পর সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ছিল প্রথম আইপিও। তাই কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে কে কত শেয়ার পাচ্ছেন এবং আইপিওতে কত আবেদন জমা পড়ছে, তা নিয়ে ছিল শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বেশ কৌতূহল।
লটারির প্রথা তুলে নেওয়ায় আবেদনকারীদের সবাই শেয়ার পাবেন—এ নিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সোনালী লাইফের আইপিওতে আবেদন অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে ১০ হাজার টাকার আবেদন করে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ হারে বা ১৭টি শেয়ার পাবেন আবেদনকারীরা। যাঁরা ২০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন, তাঁরা পাবেন ৩৪টি শেয়ার। এভাবে টাকার অঙ্কের ওপর ভিত্তি করে শেয়ার পাওয়ার সংখ্যাও বাড়বে।
জানা গেছে, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাইরে সর্বোচ্চ শেয়ার বরাদ্দ পাবেন প্রবাসী বাংলাদেশি বা এনআরবি কোটায় আবেদনকারীরা। এ কোটায় আবেদনকারীরা ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে ৩৩টি বা ৩৩০ টাকার শেয়ার পাবেন। আর ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী কোটায় আবেদনকারীরা ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে পাবেন ২২টি বা ২২০ টাকার শেয়ার। তবে ভগ্নাংশের হিসাব থাকায় বরাদ্দকৃত শেয়ারের ক্ষেত্রে সামান্য একটু পরিবর্তন হতে পারে।
সূত্রঃ প্রথম আলো