আগামীকাল (সোমবার- ৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৪ এপ্রিল) তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে পণ্যপরিবহন, জরুরিসেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে শিল্প কলকারখানা শর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে।
লকডাউন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, আমরা সাতদিন যদি সবাই শক্তভাবে পালন করতে পারি তাহলে এটি দারুণভাবে কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেক্ষেত্রে আমরা অন্তত সাতদিন এটি করতে থাকি। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে যা ভালো হয় সে সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করব।
সবশেষ করোনা আপডেট
কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। সবশেষ ৩ এপ্রিল প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয় হাজার ২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮৩ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে।
পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ
এদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটনকেন্দ্র। বাতিল করা হচ্ছে হোটেল-মোটেলে আগাম নেওয়া বুকিং। পাশাপাশি নতুন বুকিংও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সরকার থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বন্ধ থাকবে দোকানপাট-শপিংমল
লকডাউনের সময় দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান টিপু এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের মানতেই হবে। কারণ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো না। তাই আগামী ৫ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। তবে আমাদের দাবি এই লকডাউন এক সপ্তাহের বেশি যেন না বাড়ে।
বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (অ্যাকাউন্ট) শেখ আব্দুল আলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই আমরা চলব। শপিংমল এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে বললে আমরা বন্ধ রাখব।
পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে
লকডাউনের বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, লকডাউনে জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে। এছাড়া পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে। কারণ কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বিষয় থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। তবে কারখানায় শ্রমিকদের একাধিক শিফটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।