সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্কটা যে ভালো যাচ্ছে না তা নানা কার্যক্রমেই দৃশ্যমান। মার্কিন বলয় থেকে বেরিয়ে আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার পথে হাঁটছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আর সেই কাজে তিনি পাশে টানছেন চীন ও রাশিয়াকে।ইরান, সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা। এসব কারণে সৌদির প্রতি খুব একটা খুশি নয় জো বাইডেনের দেশ। সেই সাথে জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়ে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকেই একরকম বিপদে ফেলেছে সৌদি। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে ওয়াশিংটন। দেশটির ব্যাংক খাতও অনেকটা নড়বড়ে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে আরো বেড়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের জীবনযাপন ব্যয়।
তাই টানাপড়েনে থাকা সম্পর্ক আবারও জোরালো করতে সৌদি সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠক করেছেন। এই সফরে ইরানের সাথে সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ও তেলের দাম নিয়ে আলোচনা হবে।
মঙ্গলবার মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করেছেন ব্লিনকেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এমন কথাই জানিয়েছেন এক বিবৃতিতে। এছাড়াও বাইডেন ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।
ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়েও আলোচনা করেন ব্লিনকেন। তিনি সুদান থেকে মার্কিন নাগরিকদে উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য সৌদি আরবকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা