আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শহর নাজরানে, ইয়েমেন থেকে পাঠানো হুতি বিদ্রোহীদের দুইটি বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। খবর এসপিএ।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার ভোররাতে নাজরানে ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
এদিকে, চলতি মাসে সৌদি আরবের মূল ভূখন্ডে হুতিরা কয়েকদফা ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী জানিয়েছে।
এর আগে, ২০১৪ সালের শেষ দিকে শিয়া মতাবলম্বী হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানার দখল নিয়ে নেয়। সেখানকার সুন্নি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতও করে তারা। এরপর হুতিরা ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে নিলে ২০১৫ সালের মার্চের শেষ দিকে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে প্রতিবেশী সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর সামরিক জোট। তারপর থেকেই সৌদি জোটের বেপরোয়া বোমাবর্ষণ ও উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি লড়াইয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ইয়েমেন।
অন্যদিকে, চলতি বছরের প্রথমদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মুখে দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির শুরু হয়েছিল। কিন্তু, মে মাসে ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে হুতি বাহিনীর ড্রোন হামলা বেড়েছে বলে সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইয়েমেনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমানে ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, লাখো মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন।