প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি সৌদি নেতাদের পাশাপাশি ভারতীয় ও আমিরাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সপ্তাহান্তে সৌদি আরব সফর করবেন।
ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসিতে দেওয়া বক্তৃতায় জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘এই সপ্তাহের শেষ দিকে আমি সৌদি আরবের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করব।’
শনিবার থেকে শুরু হওয়া সুলিভানের সফরটি এসেছে যখন ২০২২ সালের জুলাই মাসে বাইডেনের সৌদি আরব সফরের পর থেকে ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। যদিও দু’টি দেশ সম্প্রতি সুদানের সংকটসহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।
সুলিভান বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতীয় কর্মকর্তারা বৈঠকের জন্য সৌদি আরবে আসবেন, যাতে আমরা নয়াদিল্লি এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করতে পারি, যা ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গত বছর স্বাক্ষরিত ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জোরালো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের কিছু অত্যন্ত বাস্তব উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। আমরা মনে করি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা এই অঞ্চলে যা দেখেছি তার থেকে এটি ভিন্ন হবে।’
মার্কিন কৌশলের বক্তৃতায় সুলিভান বলেছেন, সপ্তাহান্তে আলোচনার সময় ইয়েমেনের সংঘাত একটি ‘তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়’ হবে। ‘অন্তত যুদ্ধের অবসান ঘটাতে’ একটি রোডম্যাপে কাজ করার জন্য তারা সৌদি উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে বাইডেনের শীর্ষ সহযোগী সুলিভান মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং তিনি এই অঞ্চলের প্রতি ওয়াশিংটনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, এই কৌশল পাঁচটি মৌলিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে, এগুলো হচ্ছে ‘অংশীদারিত্ব, প্রতিরোধ, কূটনীতি এবং সংঘাত নিরসন, একীকরণ এবং মূল্যবোধ গড়ে তোলা।’