ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যেই সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আরব সফরের অংশ হিসেবে রিয়াদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রাসাদে তার সঙ্গে দেখা করেছেন ব্লিঙ্কেন।
আজ রোববার এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয় এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় টানা ৮ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় ব্যাপকভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এই যুদ্ধে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত মার্কিন সরকার। এরই মধ্যে হামাসকে ঠেকাতে ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি রণতরী এরই মধ্যে ইসরায়েলে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেকটি ইসরায়েলের পথে রয়েছে।
বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, বৈঠক খুব ফলপ্রসূ হয়েছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন যে, বৈঠক এক ঘন্টার কম সময় ধরে চলে এবং ক্রাউন প্রিন্সের ব্যক্তিগত খামারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বৈঠকে ব্লিঙ্কেন হামাসের সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করার, সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং সংঘর্ষের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অটল অবস্থান তুলে ধরেছেন।’
মিলার যোগ করেন, ‘দুজন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বাইরে স্থিতিশীলতা এগিয়ে নেওয়ার জন্য অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছেন।’
ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে তার সফর শুরু করেন। এ সময় তিনি হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি জোরালো মার্কিন সমর্থনের কথা জানান। এরপর থেকে তিনি জর্ডান, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব সফর করেছেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি সংক্ষিপ্ত সফর করেন এবং শনিবার দেরিতে ক্রাউন প্রিন্সের সাথে দেখা করতে রিয়াদে ফিরে আসেন।
ব্লিঙ্কেন শনিবার রিয়াদে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের বৈঠকের আগে, ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন যে, সংঘর্ষের উভয় পক্ষের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঠিক এটি করার জন্য একসাথে কাজ করছি। বিশেষ করে গাজায় নিরাপদ এলাকা স্থাপনে কাজ করছি, করিডোর স্থাপনে কাজ করছি যাতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এমন লোকদের কাছে পৌঁছাতে পারে।
তবে বৈঠকে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি সৌদি আরব।
সহিংসতা শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা জানিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ। ইসরায়েল ২০২০ সালে ৩ টি আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। সৌদি স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য একটি মাইলফলক।