1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

স্টার্টআপে বিনিয়োগকারীদের আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩

দেশের স্টার্টআপে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের অনেক বেশি মেধাবী উল্লেখ করে স্টার্টআপের কার্যক্রম গ্রামের নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়ে গ্রামে যেতে হবে। গ্রামের ছেলে-মেয়েদের শেখাতে হবে। তারা অনেক বেশি মেধাবী। তাদের একটু সুযোগ করে দিতে হবে। সুযোগটা পেলেই তারা এগিয়ে আসবে, তারা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজ’ নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড’এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর’ উদ্বোধন করেন। সেইসঙ্গে আট বিভাগে সেরা আট স্টার্টআপকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। আমরা আপনাদের বিনিয়োগ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করেছি।

তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন (কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে ইউনিকর্ন বলা হয়) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরি করতে সহায়তা করা। যেখানে প্রতিটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশ হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম মেধাবী এবং তাদের নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নের ক্ষমতা রয়েছে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা প্রতিটি উপজেলায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।

সরকারপ্রধান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, রোবটিক্স, বিগ ডাটা, মেডিকেল স্ক্রাইব, সাইবার নিরাপত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজ কোনোমতে বিএ পাস করেই বলবে চাকরি দাও চাকরি দাও, চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন? নিজেই উদ্যোক্তা হবে। নিজেরাই এখানে কাজ করবো এবং তারাই চাকরি আরও মানুষকে দেবে। নিজের কাজ নিজে করবে। আমরা কোম্পানি আইনটা পরিবর্তন করে দিয়েছি, যাতে এক ব্যক্তির কোম্পানি করতে পারে। সে ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। সব রকমের সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছে, যাতে করে আমাদের যেকোনো একজন উদ্যোক্তা নিজেই দাঁড়াতে পারে। নিজেই একটা কোম্পানি করবে, ব্যবসা করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজের মাস্টার নিজে হবে। কারো অধীনে কাজ করবে না। সেইভাবে কাজ করতে হবে।

২০০৮- এর নির্বাচনী ইশতিহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ হবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। অনেক ব্যঙ্গ শুনতে হয়েছে সে সময়। অনেক কথা শুনতে হয়েছে এবং বলেছে এটা আবার কে ব্যবহার করবে। ডিজিটাল আবার কি, এটা কি।

তিনি বলেন, সে সময় বিদ্যুতের অভাব ছিল। বিদ্যুৎ ছিল মাত্র তিন হাজার ২০০ মেগাওয়ার্ট। বিদ্যুৎ চলে গেলেই বলতো আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে, বিদ্যুৎ চলে গেছে, এ তো ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোনো একটা কিছু হলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে ব্যঙ্গ করা হতো। সেই অপমান, সেই ব্যঙ্গ শুনেও আজকে কিন্তু বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। অবশ্য রাজনীতি করতে গেলে, সরকার চালাতে গেলে সমালোচনা শুনতেই হবে ওটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার লক্ষটা যদি স্থির থাকে, আর যদি আত্মবিশ্বাস থাকে যে এটা আমাকে করতে হবে তাহলে কোনো বাঁধাই বাধা না, কোনো ব্যঙ্গই ব্যঙ্গ না। ব্যঙ্গটায় সাফল্যে এনে দেবে, এটা আমরা প্রমাণ করেছি- বলেন সরকারপ্রধান।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ক তিনটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া আটটি স্টার্টআপের মধ্যে রয়েছে- শপআপ, পাঠাও, বিকাশ, ১০ মিনিট স্কুল, ইউএনডিপি ইয়ুথকো ল্যাব, নগদ, এসবিকে টেক ভেঞ্চার এবং পরবর্তী অর্থায়ন।

পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি