মো: আনজার শাহ, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: মৃত্যুর আগে তাঁর ফেসবুকে পোস্ট, কি লিখব লিখার ভাষা খুজে পাচ্ছি না। আমার জীবনে যে এমন সিদ্ধান্ত আসবে কোন দিন ও কল্পনা ও করি নাই। দুনিয়ার মায়া এখন ঐ ত্যাগ করতেই হল। কারণ এত পরিমাণ মানসিক চাপ সইতে আমি ব্যার্থ যাদের কারণে দুনিয়া ত্যাগ এক কথায় স্ত্রী ও তাদের সমস্ত আত্মীয় বিশেষ করে তাদের যে বাড়ির মানুষ তারা আমাকে ও আমার ফেমিলিকে নানান ভাবে হুমকি দামকি দিয়ে আসে। আমি আমার স্ত্রী কে কোন দুষ করলে কিছু বললেই তারা আমাকে অনেক ভাবে গালাগালি ও হুমকি এমন কি ১৪/৪/২৪ এ দিন ও তাদের বাড়ি গেছিলাম স্ত্রী কে আনতে যে কোন একটা বিষয়ে জামেলা হইছিল, তা নিয়া তাদের বাড়ির মানুষ বিশেষ করে তার চাচাত ভাই সালাম আমাকে মারতে ও জবাই করতে আসে।হুমকি দামকি করে পরে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।তাদের বাড়ির মানুষ।পূর্বের কোন এক ঘটনা হইছিল তবুও তারা শুধু আমার স্ত্রী কথা শুনেই আমাকে মারতে আসে বা অনেক বাজে গালাগালি করে। যেমন কোন একদিন তার চাচাত ভাই রাজু মোস্তফা নগর থাকাকালীন আমাকে মারতে আসে। পরে তার চাচা ধুদ মিয়া সাহেব উনি আমাকে অনেক খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করছে এমনকি আমাকে খুজে বেড়াইছে যেখানেই পাবে সেখানেই মারবে।আর এ ঘটনাগুলো তাদের দ্বারা করাইত আমার শাশুড়ী। আমার স্ত্রী কে আমার সামনে ও আমাদের বাড়ির সবার সামনে ধুদ মিয়া বলে আসে যে কে কি বলে আমাকে বলবি। ঠিক সেই সাহস নিয়েই আমার স্ত্রী আমার ও আমাদের পরিবারের সাথে আচরণ করতো, এত জ্বালা আমার ধৈর্য ধরতে কষ্ট হয়,আমি আর সহ্য করতে পারছি না তাই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে বাধ্য হলাম।ভালো থাইক আপন মানুষ ও সকল ধরনের পরিচিত বন্ধু বান্ধবগন। সবাই ক্ষমা করে দিও। মা বাবা ও আমার নিজের ভাই বোন তোমরাও ভালো থাইকো, জানি না আল্লাহ মাফ করবে কি না? দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে অনেক কস্ট হইতাছে তাও চলে যাইতে হইল। আশা করি কেউ আমার মরা দেহ পাবে না। আমার একটা কলিজার ছেলে সন্তান আছে সবাই দেখে রাইখেন।তবুও এত কষ্ট নিয়া বাচতে চেয়েছিলাম কিন্তু গতকাল ১৩/৫/২৪ আমার শুশুড় বাড়ির লোকজন আগেই বলছিল আমার স্ত্রী কে তার স্বাধীনতা ভাবে চলতে দিতে হবে। তাই সেও বাবার বাড়িতে যায় আবার আসে এমন কি কাল ও আমাকে না বলে চলে গেছে। এখন কথা হলো বৌ আর শুশুড় বাড়ির কথায় যদি আমি একজন আলেম স্বামীর চলতে হয়,তাহলে আমি স্বামী হয়ে লাভ কি?? ব্যাপার টা মানতে আমার বড় কষ্ট হচ্ছে। আর তারা বলছে আমি যদি তাদের কথায় না চলি তাহলে আমাকে হুমকি দিয়ে বলছে তারা আমার পায়ের রগ কেটে ফেলাবে।সুতরাং যেহেতু বৌকে স্বাধীনতা দিতেই হবে,তাই যাও একেবারেই স্বাধীনতা দিয়া দিলাম। জনমের তরেই স্বাধীনতা দিয়া দিলাম,আমি চলে যাচ্ছি আর কোন দিন তোমাকে স্বাধীনতার জন্য নিজ পরিবার দিয়ে একজন আলেম স্বামীকে মারাতে হবে না, হুমকি দিতে হবে না,পায়ের রগ কাটতে হবে না! তাই নিজেকে একজন ব্যর্থ পুরুষের পরিচয় দিয়ে ওপারে চলে গেলাম……..!!