স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার হলেও বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউপির শীতলাই গ্রামে আজও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এখনো মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করে ছাত্র-শিক্ষকহ সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিপাকে পড়েন কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।
বার বার বিভিন্ন নেতারা আশ্বাস দিলেও গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া মাটির রাস্তাটির আজও উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকারের টানা ১৫ বছরেও কোন ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সুজলপুর ইউপির শীতলাই গ্রামে। বার বার এই কাঁচা রাস্তাটির উন্নয়নে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও আজও হয়নি এমনটাই বললেন সুজালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম।
ছোট শীতলাই থেকে বর্ষা গ্রাম পর্যন্ত পুরো রাস্তা কাঁচা। কাঁচা রাস্তার উন্নয়ন না হওয়ায় অন্যসব উন্নয়নই যেন পিছিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় আসাদ, সাব্বিরসহ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, শীতলাই গ্রামে দুটি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। রয়েছে শীতলাই আলিম মাদ্রাসা। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে আসে। ১৯৩২ সালে স্থাপিত হয়েছে শীতলাই প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও কোন রাস্তার পরিবর্তন আসেনি। যে গ্রামে সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেই এলাকায় কোন ধরনের রাস্তাঘাট পাকা হয়নি।
এ ব্যাপারে সুজালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জানান, বর্ষার সময় পায়ে হেঁটে চলা কষ্টকর। ফসল নিয়ে পরিবহন সমস্যায় পড়ে কৃষক। প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করা হলেই এই এলাকার উন্নয়ন ত্বরাম্বিত হবে। বার বার সংশ্লিষ্টদের জানানো হলে তারা বলেন, তালিকা করা হয়েছে, হবে। কিন্তু আজও হয়নি।