সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস ঝুঁকির মধ্যে সোনাইমুড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। গনপরিবহন, রেল স্টেশান, শপিংমল, কাঁচাবাজারসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর সর্বত্র মানুষের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু করোনা সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউই। নিয়ম না মেনে জনসমাগম করায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে বলে ধারনা করছে চিকিৎসকরা। সোমাবার উপজেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন বাজার ও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় ঘুরাঘুরিসহ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করছেন এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই দোকানে বসে দিচ্ছে আড্ডা। তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন রোধের সতর্কতা নেই বললেই চলে। হাত না ধুয়ে যনবাহনসহ বাজার ও দোকানে চলছে নাস্তা খাওয়া। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা বাড়ছে। করোনা সংক্রমনের হার উর্ধ্বমুখী হলেও সোনাইমুড়ীতে মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না।
এ ব্যপারে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মাইনুল ইসলাম বলেন, মানুষের সচেতনতাই পারে করোনা সংক্রমন রোধ করতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে করোনার দ্বিতীয় প্রোকোপ আরো ভয়াবহ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পৌরশহরের রেলস্টেশনের পাশের মাস্ক পরা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম বলেন, মানুষ চলাফেরায় মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। গত কয়েক দিন ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করছে কিনা এ ব্যপারে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিস্টদের আরো কঠোর হতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল বলেন, আমরা সরকারী নিয়ম নীতি অনুযায়ী সভা সেমিনার ও সামাজিক প্রোগ্রাম পরিচালিত করছি। স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা সেমিনার করার নির্দেশনা দিয়েছি। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে লোকজনের সমাগম স্থলে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানার হার বাড়িয়ে দেওয়া হবে। অচিরেই আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবো।