সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর আসামি মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ পড়ে শোনান। এ সময় বিচারক তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি দোষী না নির্দোষ? উত্তরে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন। একই সঙ্গে আসামি মালেকের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
চলতি বছরের গত ১১ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ১৩ জনকে সাক্ষী করে আসামি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ৪ এপ্রিল আসামি মালেকের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে মোট ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, অধিদফতরের কর্মচারী হলেও মালেক ছিলেন প্রভাবশালী। তিনি অধিদফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ ও বদলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কথামতো কর্মকর্তারা কাজ না করায় তাদের নানাভাবে হয়রানি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরো উল্লেখ করা হয়, মালেক একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও নিজে ব্যবহার করতেন পাজেরো গাড়ি। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের যেসব চালক আছেন, তাদের তেল চুরির টাকার বেশিরভাগই মালেকের পকেটে যেতো।