বিশেষ প্রতিবেদক :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেলেংকারী থামছেই না। করোনাকালীন দুর্যোগ নিয়ে বহুল আলোচিত মস্ত বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সাহেদ ও সাবরিনার রেশ না কাটতেই কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ১৪৩ জন অলটারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার ইউনিটি নিয়োগ দানের অভিযোগ এসেছে।
অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ত্রুটি হলো কেবলমাত্র ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশ করা শিক্ষার্থীদের আবেদনের বাধ্যবাধকতা রাখা। যা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি বলে আইনজিবী কুতুবউদ্দিন জানান।
এ নিয়োগ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত সচিব শাহদাত হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এএমসি শাখার পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক কামরুজ্জামানসহ শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
সূত্র মতে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ ও মৌলিক অধিকার বঞ্চিতরা হাইকোর্টে রিট করেন। রির্টের আদেশে নিয়োগ স্থগিত করা হয়। এবং স্বাস্থসচিব, ডিজি স্বাস্থ্য ও পরিচালক স্বাস্থ্যকে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রিটের জবাব দেয়া হয়নি। ৩য় পক্ষ একটি আপিল করলে আপিল শুনানিতে ৩য় পক্ষ সুপ্রিম কোর্টকে আস্বস্ত করেন যে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। সমজাতিয় সকলকে আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, সময় বৃদ্ধি এবং আশ্বাস প্রদান করায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ বাতিলের আদেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
এরপর আর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও রিটকারীদের সময়, সুযোগ দেয়া হয়নি। ১৩ মাস পর হঠাৎ করে ২ বছর আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসের ৩১ তারিখ এ পরিক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য রিটকারীরা স্বাস্থ্য সচিবের কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষা স্থগিত না হওয়াতে রিটকারীরা ক্ষুব্ধ। তারা আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছে।