পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর আলোচিত সামিউল ইসলাম সয়নের (২৬) খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে দ্বিতীয় বারের মতো রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন তার বন্ধুমহল সহ পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (৩ অক্টবর) সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে আটোয়ারী-ঠাকুরগাঁও সড়কে ওই কর্মসুচী পালন করা হয়। এসময় সয়নের বাবা মোঃ রবিউল কবির রবি, মা সেলিনা আকতার, বড় ভাই নয়ন, ছোটভাই সুজন, শয়নের বন্ধু লাবিব, সুমন, মাসুদ পারভেজ ও শাওন সহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সয়নের খুনিদের আটক না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আটোয়ারী উপজেলাকে অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারিও দেওয়া হয়। তাই অনতিবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁশির কাটগড়ায় আনার দাবি জানান। উল্লেখ যে, গত ২৪ দিন পূর্বে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে সয়নের পুর্ব পরিচিত বন্ধু পাওনা টাকা নিতে ঠাকুরগাঁও জগন্নাথপুর আদর্শ কলোনীর বাসিন্দা আঃ রউফ এর পুত্র মুন্না সহ দুইজন মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলা মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুল গেটে আসেন। সয়নের বড় ভাই নয়ন বলেন, তার ভাইয়ের কাছে মুন্না ও রাব্বি নামে ঠাকুরগাঁওয়ের দুই যুবক ৬ হাজার টাকা পেতো। ওইদিন সে পাওনা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা কৌশলে আমার ছোটভাইকে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে চা খাওয়ার কথা বলে তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলে বসিয়ে নিয়ে যান। পরে আমরা জানতে পারি, আটোয়ারী পল্লীবিদ্যুৎ মোড় পার হয়ে বড়দাপ কোনপাড়া এলাকার জনৈক ইব্রাহিম আলীর বাড়ীর সামনের পাঁকা রাস্তায় সয়নকে মেরে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান ওই দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা সয়নকে উদ্ধার করে আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ৮ সেপ্টেম্বর রাতেই রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। রাতেই সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেন। আন্দোলনকারী ও সয়নের পরিবারের সদস্যদের শান্ত করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন আটোয়ারী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুসা মিঞা। তিনি বলেন, আমি এই থানায় নতুন যোগদান করেছি, আশা করি সবার সহযোগিতায় খুব তাড়াতাড়ি খুনীদের ধরতে সক্ষম হব। পরিশেষে পুলিশের কথায় আশ্বস্ত হয়ে আন্দোলনকারীরা তাদের ঘরে ফিরে যান।