মিয়ানমারের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তারের পর দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। অং সান সু চির আটকের পর থেকে দেশটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্ধ রয়েছে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম।
আজ সোমবার ইয়াঙ্গুন স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, লেনদেন স্থগিত লিখে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শেষ লেনদেন হয়েছে গত শুক্রবার। এ ছাড়া শনি ও রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে।
ওয়েবসাইটের নোটিশে বলা হয়, নেটওয়ার্ক কানেকশনে ত্রুটি থাকায় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভিও জানিয়েছে যে তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ব্যাংকগুলোও।
মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াঙ্গুনে সুপার মার্কেটগুলো নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণত রাত নয়টায় বন্ধ হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে আজ সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিভিন্ন সুপার মার্কেট নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে। এতে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানিয়েছে তারা। কিন্তু অনেক মানুষকেই দোকানে ভিড় করতে দেখা গেছে। আতঙ্কিত মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখছেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আজ দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে আটকের পর দেশটিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।